অতিরিক্ত ঘাম যেসব রোগের লক্ষণ

0 ২৯২

স্বাস্থ্য ডেস্ক: অনেকেই দেখা যায়, রাতের ঘুমের মধ্যেও ঘামেন। আর একটু পরিশ্রমের কোনও কাজ করলে তো কথাই নেই। কেউ কেউ আবার বসে বসে ঘামেন। কারও কারও খাবার টেবিলে বসলে নাক-মুখ দিয়ে অঝোরে ঘাম ঝরে। কিন্তু অতিরিক্ত ঘাম শরীরের জন্য মোটেই ভালো লক্ষণ নয়।

আমরা জানি, ঘামের মধ্য দিয়ে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়। হৃদযন্ত্রের উন্নতি সাধিত হয়। এমনকি শরীরে তাপের সঙ্গে ঘাম উৎপন্ন হলে হৃদযন্ত্র দেহের ভেতর রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে। শুধু তাই নয়- সৌন্দর্য সচেতন নারী-পুরুষদের জন্যও ঘাম উপকারী। ঘাম এমন এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে যা মানুষের ত্বকে প্রতিনিয়ত হামলাকারী ক্ষতিকর অণুজীবকে দম করে ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে।

কিন্তু ঘামের উপকারিতা যেমন আছে, কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে। চিকিৎসকরা বলেন, অতিরিক্ত ঘাম বিভিন্ন রোগের উপসর্গ তৈরি করে। যেমন-

* ডায়াবেটিস রোগীরা তুলনামূলক একটু বেশিই ঘামেন। রক্তের শর্করার ওঠানামা ডায়াবেটিসে খুব স্বাভাবিক বিষয়। ডায়াবেটিস বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্নায়ুর ক্ষতি করে। তাই অতিরিক্ত ঘাম হলে প্রথমেই রক্তের শর্করা পরীক্ষা করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

* হৃদযন্ত্র রক্ত পাম্প করতে বাধাগ্রস্ত হলে অতিরিক্ত চাপের ফলে ঘামের পরিমাণও বেড়ে যায়। বেশি ঘাম হৃদরোগের বড় লক্ষণ। কিছু ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রের সমস্যা থেকেও অতিরিক্ত ঘাম হয়।

* কোনও বিষয়ে মাত্রারিক্ত উদ্বিগ্ন হলে ঘাম বেশি হয়। কারণ উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা চাপে থাকা হরমোনকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে অতিরিক্ত মানসিক চাপে ভুগলে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে যান।

* নারীদের ক্ষেত্রে মনোপজের সময় অনেকেরই হট ফ্লাস ও ঘামের সমস্যা হয়। বুক ও ঘামে অতিরিক্ত ঘাম হয়।

* অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার আরেকটি কারণ রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। তাই দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব কাছাকাছি ভালো কোনও চিকিৎসককে আপনার সমস্যার কথা বলুন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.