এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী

0 ২৯০

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: উন্নয়ন সহযোগীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা যদি এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারি, তাহলে ২০২৪ সালে আমরা উন্নয়নশীন দেশের স্বীকৃতি পাবো এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে অবস্থান হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।’

সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় উন্নয়ন সহযোগীরা শর্ত আরোপ না করে, সহযোগিতা করবেন বলেও প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম-২০২০’র উদ্বোধনী শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারপ্রধান বলেন,‘দেশকে আমরা কীভাবে গড়তে চাই, ২০২১ সালে থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা কীভাবে এগিয়ে যাবো, এটা শুধু শহরের মানুষের জন্য নয়, গ্রামের মানুষরাও যেনো পিছিয়ে না থাকে, প্রতিটি মানুষের জীবন যেনো অর্থবহ হয়, সেটিকে মাথায় রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন জায়গাগুলো গুরুত্বপূর্ণ তা চিহ্নিত করেই পরিকল্পনামতো এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতির পিতা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেটা বাস্তবায়ন করাই লক্ষ্য। তা করতে পারলেই দেশ এগিয়ে যাবে- এমনটা উল্লেখ্য করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ জাতির পিতা দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত করার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ থেকে ৭৮ পর্যন্ত পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তিনি। আমরা ২১ বছর পর সরকার গঠন করে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাও গ্রহণ করি, পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও গ্রহণ করি। ষষ্ঠ শেষ করে, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন জায়গাগুলো গুরুত্বপূর্ণ তা চিহ্নিত করেই আমরা পরিকল্পনামতো এগিয়ে যাচ্ছি।’

রাজনৈতিক কমিটমেন্ট ছাড়া কোনও দেশ বা জাতি উন্নতি করতে পারে না। সেটা বাংলাদেশের জন্য একেবারেই সত্য বলেও মন্তব্য করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন থেকেই আমরা সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। ফলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। শুধু বাংলাদেশ নয় যেসব ছোট দ্বীপ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাদের সবার প্রতিই সহায়তা করা প্রয়োজন। উন্নত রাষ্ট্রগুলোকে এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে।’

‘আমরা যেহেতু বদ্বীপ, তই ডেল্টা প্ল্যান ২০১০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের কাজও শুরু করেছি। আমাদের নদীগুলি ড্রেজিং করতে হবে। নাব্যতা বাড়াতে হবে। তাহলে বন্যার হাত থেকে আমরা মুক্তি পাবো। আর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে আমরা অনেক ভূমিও উদ্ধার করতে পারবো। সেসব ভূমি কৃষিকাজসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারবো। নদীতে নাব্যতা থাকলে যোগাযোগ ব্যবস্থাও সহজ হয়ে যাবে।’

দেশের তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। কারিগরি শিক্ষায় দক্ষতা বাড়িয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হতে হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.