করোনা ছড়ানোর খবর আগে থেকেই জানত চীন: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0 ৩০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দাবি করেছেন, চীন করোনা ভাইরাসের কথা ডিসেম্বরে বলেছে। কিন্তু তারা নভেম্বর থেকেই করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে জানত। এরপরও তারা বিশ্বকে কোনও তথ্য বা সতর্কবাণী দেয়নি। যার কারণে এই ভাইরাস এত তীব্র আকার ধারণ করেছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র প্রথম থেকেই বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার জন্য চীনকেই দায়ী করে আসছে। একাধিকবার সেকথা উল্লেখও করেছে ওয়াশিংটন।

যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে আসছে, চীনের দেওয়া তথ্যে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। কারণ, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রথম ঘটে নভেম্বরে, যা চীন গোপন রেখেছিল। এরপর ডিসেম্বর থেকে সংখ্যাটা বাড়তে থাকে।

মাইক পম্পেও বলেন, নভেম্বরের ঘটনা ডিসেম্বরে জানায় চীন। তখন ব্যবস্থা নিতে তারা এতটাই দেরি করে ফেলেছিল যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এবং গোটা বিশ্বকে ইচ্ছাকৃতভাবেই বিপদের মুখে ফেলে দিয়েছে বেইজিং।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রথম করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাকে উপেক্ষা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও (ডব্লিউএইচও) সমস্যার মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে। চীন কূটনৈতিক খেলায় মেতে একের পর এক অদ্ভুত তথ্য দিচ্ছে, সেটি বের করাও মুশকিল।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডব্লিউএইচওর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, চীনে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়াকে বিশ্বের কাছে সঠিক গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে ডব্লিউএইচও। বিশ্বব্যাপী করোনার বিস্তারে এর ভূমিকা রয়েছে। চীনের দেওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে এগোনোর ফলে বিশ্বে করোনা হানার ভয়াবহতা ২০ গুণ বেশি বেড়েছে, যা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

আর এসব অভিযোগ তুলেই সম্প্রতি সংস্থাটির আর্থিক অনুদান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
তবে যুক্তরাষ্ট্র মাথার ওপর থেকে আর্থিক সাহায্য সরিয়ে নেওয়ার পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছে চীন। ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সংস্থাটিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেইজিং।

Leave A Reply

Your email address will not be published.