খালেদার গ্যাটকো দুর্নীতির মামলা চার্জ শুনানি পেছাল

0 ১,০৭৩

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় চার্জ শুনানি ফের পিছিয়ে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারী ধার্য করেছে আদালত। মামলাটির চারজন আসামীর পক্ষে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় আজ রোববার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার নতুন এ তারিখ ধার্য করেন। এর আগে মামলাটিতে গত ৫ মার্চ একই আদালতে খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

২০১৫ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট খালেদা জিয়া দুটি রিট খারিজ করে দুই মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। কিন্তু আসামী তানভির, গালিব, শাহাদত ও সানোয়ারের পক্ষে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় মামলায় চার্জ শুনানি করতে পারছে না আদালত।

আজ বোরবার খালেদা জিয়া এবং আমির খসরু মাহমুদের অসুস্থতার জন্য সময় মঞ্জুর করে আদালত। এছাড়া আসামী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থণা করলে তা মঞ্জুর হয়। অন্যদিকে স্থগিত থাকা চার আসামীর পক্ষের আইনজীবীকে হাইকোর্টের রুল নিষ্পতির পরামর্শ দেয় আদালত।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার বাদি হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ১৩ মে জোট সরকারের প্রভাবশালী নয় সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জহিরুল হুদা চার্জশিট দাখিল করেন। জরুরি বিধিমালা সংযুক্ত ওই মামলার চার্জশিটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রীট আবেদনগুলি করে মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়া। রীট আবেদনের কারণে প্রায় ৮ বছর নিন্মআদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

মামলার ২৪ আসামীর মধ্যে পাঁচজন আসামী মারা গেছেন। এরা হলেন, সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুইয়া, জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, ন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরণ কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম ও বিএনপির চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকা। অপর আসামীদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপরে (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (অব.) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপরে (চবক) সাবেক সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লি. (গ্যাটকো) এর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, গোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লি. (গ্যাটকো) এর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপরে সাবেক চেয়ারম্যান এএসএম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এএম সানোয়ার হোসেন, ও বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর উপস্থিত ছিলেন।

চার্জশিটে বলা হয়, আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে দরপত্রের শর্ত ভঙ্গ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে সরকারের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া গ্যাটকোকে ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে অবৈধভাবে আরাফাত রহমান কোকো ও ইসমাইল হোসেন সায়মন ২ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩৬ টাকার আর্থিক সুবিধা নেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.