চবির পূর্ণাঙ্গ উপাচার্য হলেন ড. শিরীণ আখতার

0 ২৬৯

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে উপ-উপাচার্যের পদ থেকে অব্যহতি প্রদান পূর্বক পূর্ণাঙ্গ উপাচার্য পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

রবিবার (৩ নভেম্বর) বিকাল ৪ টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিষয়টি ব্রেকিংনিউজকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ উপাচার্যের দ্বায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। আজ বিকাল ৪ টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত মেইল বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে। তিনি বিকেল থেকে দ্বায়িত্ব পালন করবেন বলেও তিনি জানান।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দীনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৩ জুন থেকে উপাচার্যের রুটিন দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।

এর আগে ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ১৯৭৩-এর ১৪(১) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম কোনো নারী উপ-উপাচার্য এবং পরে উপাচার্য হলেন।

ড. শিরীণ আখতার ১৯৫৬ সালে চট্টগ্রাম শহরস্থ ঈদগাওতে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম আফসার কামাল চৌধুরী এবং মায়ের নাম বেগম লুৎফুন্নাহার কামাল। তার স্বামী মো. লতিফুল আলম চৌধুরী। তিনি ১ ছেলে ও ১ মেয়ের জননী।

এ মেধাবী শিক্ষক ১৯৭৩ সালে কক্সবাজার সরকারি গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৭৫ সালে চট্টগ্রাম গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।

তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৬ সালে বিএ অনার্স এবং ১৯৮১ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯৯১ সালে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৬ সালের ২৫ জানুয়ারি অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।

তার ১৪টি গবেষণা প্রবন্ধ দেশ-বিদেশ থেকে প্রকাশিত গল্প, উপান্যাস, গবেষণা প্রবন্ধ রয়েছে। তিনি ২০০৬ সনে নজরুল জন্মজয়ন্তী চট্টগ্রাম কর্তৃক নজরুল পদক সম্মাননাসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদকে ভূষিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সার্চ কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.