চলচ্চিত্র শিল্পীরা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত

0 ৯৩৬

আলমগীর,বিনোদন :
৫ মে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। নির্বাচনে মোট ২১টি পদে লড়বেন ৫৯জন প্রার্থী। ভোটার সংখ্যা ৬২৪জন। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে লড়ছে তিনটি প্যানেল।

প্যালেন তিনটি হচ্ছে- ওমর সানি-অমিত হাসান, মিশা সওদাগর-জায়েদ খান ও ড্যানি সিডাক ও ইলিয়াস কোবরা প্যানেল। তবে এবার থাকছেন না গতবারের শিল্পী সমিতির সভাপতি শাকিব খান।

নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য মতে, এবারের অধিকাংশ প্রার্থীই তরুণ ও নবীন। নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন জায়েদ খান, সাইমন, নিরব, ইমন, অমৃতা খান। এদের আগের প্রজন্মের মধ্যে রয়েছেন রিয়াজ, পূর্ণিমা, পপি, ফেরদৌস, বাপ্পারাজ, মৌসুমী, ডন।

এছাড়া মাথার উপর ছায়া হয়ে থাকবেন রোজিনা, অঞ্জনা, সুব্রত, আলীরাজ, শহিদুল আলম সাচ্চু, নাদের খান, আরমান, রীনা খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, অরুণা বিশ্বাস, ওমর সানী, অমিত হাসান, মিশা সওদাগর, রুবেলের মত শিল্পীরা।

নির্বাচন নিয়ে ২০১৫-১৬ মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক পদে অমিত হাসানের পারফম্যান্স ছিল সন্তোষজনক। তাই এবারও তিনি দাঁড়িয়েছেন। অমিত হাসান বলেন, ‘আমি এবারও দাঁড়িয়েছি, গতবার আমাদের এক্টিভিটি ভাল ছিল। যদি শিল্পীরা বুঝে থাকে তাহলে আবারও আমাকে নির্বাচিত করবে।’

বর্তমান এফডিসির পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি খুবই ভাল আছে। এফডিসিতেই নির্বাচন হবে। নিরাপত্তার দিকটিও ঠিক আছে আমি বলব।’

বর্তমান তিন প্যানেলেই দেখা যাচ্ছে নতুন প্রজন্মের তারকাদের চোখে পড়ার মত উপস্থিতি। আর নির্বাচন না করেও অনেক তারকারা নির্বাচনকে ঘিরে আড্ডা-আলোচনায় মেতে উঠছেন। সিনিয়রদের মুখেও নতুনদের হাতে নেতৃত্ব বুঝিয়ে দেয়া ইতিবাচক ভাবনা লক্ষ করা গেছে। বুঝাই যাচ্ছে, চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি একটা বড়সড় পরিবর্তন চাইছে। কয়েকজন সিনিয়র শিল্পীকে সামনে রেখে নতুনদের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ না থাকলেও বাপ্পী, মাহি, আঁচল, পরীমনি, বুবলীরা আছেন তাদের প্রজন্মের তারকাদের পাশেই। তাদের দাবি, সিনিয়রদের নিয়ে সবার অংশগ্রহণে দুর্দান্ত একটা টিম আসুক নেতৃত্বে। যারা নিজেকে তারকা বানানোর ধান্ধায় নয়, নিজের প্রচার বা স্বার্থে ইন্ডাস্ট্রিকে ব্যবহার করতে নয়; নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করবে ঢাকাই ছবির সব সমস্যা দূর করে আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের ছবিগুলোকে পৌঁছে দিতে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.