নববর্ষের প্রথম দিন বাংলাদেশে ৮ হাজার শিশু জন্ম নেবে: ই্উনিসেফ

0 ৪০৯

স্বাস্থ্য ডেস্ক: ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিনে বিশ্বে প্রায় ৩ লাখ ৯২ হাজার ৭৮ জন শিশু পৃথিবীর আলোর মুখ দেখবে। যার মধ্যে বাংলাদেশে ৮ হাজার ৯৩ জন শিশু জন্ম নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ শিশু তহবিল সংস্থা (ইউনিসেফ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউনিসেফের ধারণা অনুযায়ী, ২০২০ সালের প্রথম শিশুটির জন্ম হবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ ফিজিতে আর শেষ শিশুর জন্ম হবে যুক্তরাষ্ট্রে।

নতুন বছরের প্রথম দিনে বিশ্বে জন্ম নিতে যাওয়া প্রায় চার লাখ নবজাতকের মধ্যে আটটি দেশেই জন্ম নেবে অর্ধেকের বেশি শিশু। দেশগুলি হলো-

১. ভারত – ৬৭,৩৮৫

২. চীন – ৪৬,২৯৯

৩. নাইজেরিয়া – ২৬,০৩৯

৪. পাকিস্তা – ১৬,৭৮৭

৫. ইন্দোনেশিয়া – ১৩,০২০

৬. যুক্তরাষ্ট্র – ১০,৪৫২

৭. কঙ্গো – ১০,২৪৭

৮. ইথিওপিয়া – ৮,৪৯৩

প্রতি জানুয়ারিতে নববর্ষের প্রথমদিনে বিশ্বজুড়ে শিশু জন্মগ্রহণের জন্য একটি শুভ দিন, যে দিনে ইউনিসেফ শিশুদের জন্ম উদযাপন করে। যদিও লাখ লাখ শিশুর জন্য জন্মের দিনটি খুব একটা শুভ হয়ে দেখা দেয় না।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে জন্মের মাসখানেকের মধ্যে ২৫ লাখ নবজাতকের মৃত্যু হয়, যাদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই একদিনের বেশি বাঁচেনি। এদের মধ্যে বেশিরভাগ অপরিপক্ক প্রসব, প্রসবকালীন জটিলতা ও সেপসিসের সংক্রমণের কারণে মারা যায়। এছাড়াও বছরে ২৫ লাখের বেশি মৃত শিশুর জন্ম হয়।

সংস্থাটি জানায়, গত তিন দশকে বিশ্বজুড়ে শিশুদের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে। বিশ্বজুড়ে পঞ্চম জন্মদিনের আগে মৃত্যুবরণ করা শিশুদের সংখ্যা অর্ধেকের বেশি কমেছে। তবে নবজাতকদের ক্ষেত্রে অগ্রগতি আশাব্যাঞ্জক নয়। ২০১৮ সালে ৫ বছরের কম বয়সী যত শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের ৪৭ শতাংশই মারা গেছে তাদরে জন্মের প্রথম মাসে, যা ১০৯০ সালের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি।

গর্ভাবস্থা, প্রসব ও জন্মকালীন জটিলতা প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রত্যেক মা ও শিশুর যত্নে সদাপ্রস্তু স্বাস্থ্যকর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ তাদের পেছনে জরুরি বিনিয়োগের আহ্বান জানায় ইউনিসেফের ‘এভরি চাইল্ড এলাইভ প্রচারাভিযান’।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, “নতুন বছর ও নতুন দশকের সূচনা কেবল আমাদের নয়, উত্তরসূরীদের ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত করার একটি সুযোগও।”

তিনি বলেন, “ সুযোগ পেলে প্রতিটি শিশু যে সব ধরনের সম্ভাবনা ও সম্ভাব্যতা নিয়ে তার জীবনযাত্রা শুরু করতে সক্ষম, প্রতি জানুয়ারিতে বছর শুরুর দিনটি আমাদের সে কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।”

হেনরিয়েটা ফোর আরও বলেন, “বেশিরভাগ মা ও নবজাতকই প্রশিক্ষিত এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সরঞ্জাম হাতে প্রস্তু ধাত্রী বা নার্সের যত্ন পায় না, যার ফলাফল হয় খুব ভয়াবহ। প্রতিটি শিশুর জন্টম এক জোড়া নিরাপদ হাতের তত্ত্বাবধানে হলে আমরা নিশ্চিত হতে পারব যে, লাখ লাখ শিশু তাদের জন্মের প্রথম দিন বেঁচে থাকবে এবং এই দশক ও তার পরেও দীর্ঘ বছর বাঁচতে পারবে।”

Leave A Reply

Your email address will not be published.