নীরবেই কাটছে হুমায়ুন ফরীদির পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী

0 ৮৯০

আলমগীর,বিনোদন :
ছোট-বড়, সাদা-রঙিন পর্দার একসময়ের দাপুটে অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদীর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দিনটি অনেকটা নীরবেই কেটে যাচ্ছে। ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি আমরা হারিয়েছি এই প্রিয় অভিনেতাকে। তিনি শুধু একজন অভিনেতা কিংবা নাট্য সংগঠক নন, মহান মুক্তিযুদ্ধের যোদ্ধাও ছিলেন। বাংলাদেশের নাট্য ও সিনেমা জগতে তিনি অসাধারণ ও অবিসংবাদিত চরিত্রে অভিনয়ের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন।

হুমায়ুন ফরীদির ১৯৫২ সালের ২৯ মে ঢাকার নারিন্দায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে তিনি ঢাকা থিয়েটারে যোগ দেন এবং নাট্যোৎসবের প্রধান আয়োজক হিসেবে কাজ করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি বিশিষ্ট নাট্যকার সেলিম আল-দীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন।

১৯৭৬সা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত নাট্য উৎসবে তিনি অন্যতম সংগঠক ছিলেন। মূলত এ উৎসবের মাধ্যমেই তিনি নাট্যাঙ্গনে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থাতেই তিনি ঢাকা থিয়েটারের সদস্যপদ লাভ করেন।

এরপর তিনি গণমাধ্যমে অনেক নাটকে অভিনয় করেন। ১৯৯০-এর দশকে হুমায়ুন ফরীদি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। সেখানেও তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন। বলা হয়ে থাকে যে, শুটিংস্থলে অভিনেতার তুলনায় দর্শকেরা হুমায়ুন ফরীদির দিকেই আকর্ষিত হতো বেশি।

বাংলা সিনেমায় খল নায়কের ভূমিকায় তিনি ছিলেন অসাধারণ। একটা সময় ছিল যখন টিভি নাটক মানেই ফরীদি। তারপর একটা সময় মানুষ শুধু হুমায়ন ফরীদির অভিনয় দেখতে হলে যেতেন। সেই হুমায়ূন ফরীদি ২০০৩ সাল থেকে সিনেমাতে অভিনয় প্রায়ই ছেড়ে দিয়েছিলেন। আর মানুষও হলবিমূখ হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.