মান ধরে রাখতে না পারলে এমপিও থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

0 ৫৭১

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী মান বা যোগ্যতা ধরে রাখতে না পারলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করেন এমপিওভুক্ত হয়ে গেছেন এখনতো বেতন পাবেনই, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই; নীতিমালা অনুযায়ী মান বা যোগ্যতা ধরে রাখতে না পারলে প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিও স্থগিত করা হবে।

দীর্ঘ ৯ বছর পর আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুরে গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি। ঘোষণার পর নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী মান ও যোগ্যতা ধরে রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিন পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হলো। এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্য বিবেচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। তবে, শিক্ষকদের এমপিও নীতিমালার নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে হবে। নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের মান ধরে রাখতে হবে।

শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ সরকার বরাদ্দ দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার ছেলে মেয়ে গড়তে শিক্ষকদের আহ্বান জানাচ্ছি, কারণ আপনারাই জাতি গড়ার কারিগরি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য মুক্ত করে সমৃদ্ধ জাতি গড়তে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকতে শিক্ষার গুরুত্ব কমে যায়।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, শিক্ষাখাতের দূর্নীতি রোধ করে একটি নীতিমালার মধ্য দিয়ে যাচাই-বাছাই করে মানসম্মত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই নীতিমালা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন অনিয়ম করলে তালিকা থেকে বাদও পরবেন তাই সততার সাথে কাজ করতে হবে

এর আগে গতকাল ২২ অক্টোবর, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তালিকা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়া তথ্য ক্রস চেক করা হয়েছে। তালিকাটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর পরও কিছু যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আবারও পাঠানো হয়েছে। সব সঠিকতা যাচাই করেই এমপিওভুক্তির ফাইলে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেছেন। চলতি বছরের জুলাই মাস থেকেই এই এমপিওভুক্তি কার্যকর হবে।

যোগ্য নির্বাচিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই এমপিওভুক্ত করা হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, কিছু উপজেলা রয়েছে, যেখান থেকে কোনো আবেদনই পাওয়া যায়নি। আবার নারী শিক্ষা, পাহাড়ি অঞ্চলসহ অনগ্রসর এলাকা বিবেচনা করে নীতিমালা অনুযায়ী কিছু প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। তবে খুবই কম উপজেলা আছে, যেখান থেকে প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি।

এমপিও মানে মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার। প্রথমে ব্যক্তি উদ্যোগে স্কুল-কলেজ মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার সময় তারা এই মর্মে মুচলেকা দেন যে তারা নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রতিষ্ঠানগুলো চালাবেন। কখনও সরকারের কাছে বেতন ভাতা চাইবেন না। কিন্তু প্রতিষ্ঠার কয়েকবছরের মধ্যেই এমপিওভুক্তির আবেদন করেন। এবং সময় সময় এমপিওর দাবিতে আমরণ অনশনের মতো কঠিন কর্মসূচিও পালন করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

এমপিওভুক্ত হলে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা পান শিক্ষক-কর্মচারীরা। একজন সরকারি শিক্ষকের মূল বেতন স্কেলের সমপরিমান ও তার সাথে কিছু বাড়ীভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা পান এমপিওভুক্তরা। এছাড়া বৈশাখী ভাতা ও পাঁচ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.