রাজশাহীতে সাংবাদিকের উপর হামলা ইউ.পি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

0 ৪৫৮

স্টাফ রির্পোটার: ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করার প্রতিবাদ করায় দৈনিক গনমুক্তির রাজশাহী প্রতিনিধি ও বিজয় টিভির ক্যামেরা পারসন মাজহারুল ইসলাম চপলের উপর হামলা চালিয়েছে মোহনপুর উপজেলার ৪ নং মৌগাছী ইউ পি চেয়ারম্যান আল-আমিন বিশ্বাস ও তার ক্যাডার বাহিনী ।

আর এঘটনায় ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন সাংবাদিক চপল। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, আল-আমিন চেয়ারম্যান এলকায় খুব বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। জোর করে এলাকার অসহায় মানুষদের কাছ থেকে জমি নিয়ে পুকুর খনন সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সাংবাদিক চপল জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারী বিভিন্ন লোক মারফত জানতে পারে যে, রাজশাহীর মোহনপুরে পুকুর খননের মহাৎসব চলছে। এই সংবাদ পাওয়ার পর সে সরেজমিনে যান সংবাদ সংগ্রহের জন্য এবং মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সানওয়ার হোসেন এর সাথে কথা বলেন এরপর ইউএনও সাহেব সাংবাদিক চপল ও তার সহকর্মীদের নিয়ে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। মোবাইল কোর্ট শেষ হতে সন্ধ্যা হয়ে যায়।

সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টায় ইউএনও এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে রওনা দেন তিনি । পরে সে সেখান থেকে ফিরে আসার সময় তার সহকর্মীরা দ্রুত চলে আসতে থাকে পিছু পড়ে যায় সাংবাদিক চপল। পথি মধ্যে ত্রীমহিনির মোড়ে কিছু লোক পথ রোধ করে তার। অবশ্য সাংবাদিক চপল কয়েক জনকে চিনতে পারে তারা হলেন ৪ নং মৌগাছী ইউ পি এর বর্তমান চেয়ারম্যান আল-আমিন বিশ্বাস, আঃ সবুর মাস্টার, আনারুল, জামালসহ ১০-১২ জন তাকে ঘিরে ধরে ।

তারপর তাকে বেধরক মারে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তার সহযোগিরা লাঠি, লোহার রড, ছুরি নিয়ে পাশে দাড়িয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখায়। বলে যদি চিল্লা পাল্লা করিস তাহলে তোকে জানে মেরে ফেলবো। সন্ত্রাসীরা জোরকরে করে তার ক্যামেরা ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে -চিৎকার দিলে চপলের সহকর্মীরা ছুটে আসে। আসার সঙ্গে সঙ্গে তারা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষন পরে মুঠোফোনে ইউএনও কে বিষয়টি জানানো হয়।

পরে তার সহকর্মীরা উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক সপ্তাহ বিশ্রাম দেন। পরবর্তিতে তার সহকর্মীদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী কোর্টে মামলা করেন। পরবর্তিতে খোজ নিয়ে জানা গেছে উপর মহলকে ম্যানেজ করে এর আগে মৌগাছী ইউনিয়নের আকুবাড়ি ও মৌপাড়া বিলে প্রায় ৪০ বিঘার একটি পুকুর খনন করেছেন। তারপর একের পর এক একই বিলে পুকুর খনন করে চলেছেন।

এ বিষয়ে তথ্য নিতে গেলে সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরন ও লাঞ্চিত করেন এই আল-আমিন বিশ্বাস, আঃ সবুর মাষ্টার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এমনকি এঘটনায় সাংবাদিক চপলকে মেরেফেলার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন আল-আমীন চেয়ারম্যানের লোকজন। এখন এই তরুন সাংবাদিক চপল চরম আতংক ও ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছেন । তার নিরাপত্তার জন্য সহায়তা চেয়েছেন প্রশাসনের।

Leave A Reply

Your email address will not be published.