লকডাউনে বাড়ছে ঘাড়-কোমর ব্যথা, করণীয় কি?

0 ৪৬২

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: করোনার প্রভাবে দেশে চলছে সাধারণ ছুটি। বন্ধ রয়েছে অফিস- আদালত। তবে স্বল্প পরিসরে চলছে বেশ কিছু ক্যাটাগরির অফিসের জরুরি সেবা। এসব অফিসের কর্মীরা বাসায় বসে অফিসের কাজ করছেন। ঘরে বসে কাজ করাটা বেশ আরামের হবে বলে ভেবেছিলেন অনেকে। সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘাড়ে-কোমরে ব্যথা, কখনও আবার ব্যথা সারা শরীরে। গা ম্যাজম্যাজ, মাথা টিপটিপ, বিরক্তিকর ব্যথা কমছে না বেড়েই চলেছে।

এর মধ্যে ৮ ঘণ্টার অফিস কখনো ঘণ্টা দশেকে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বাসায় বাড়ছে বিরক্তি। শুয়ে বসে- কাজ করতে করতে ঘাড়- কোমর ও পিঠের ১২টা বাজার পথে এমন মুহূর্তে কি করণীয়?

 লকডাউন বাড়ার সঙ্গে বাড়বে ব্যথা

অফিসে কাজ করতেন নির্দিষ্ট চেয়ার-টেবিলে বসে। বেশির ভাগ সময় ডেস্কটপে। মাঝে মাঝে উঠতেন। এ দিক সে দিক যেতেন। ঘাড়-কোমরের আড় ভেঙে নেওয়ার সুযোগ ছিল। তার পর ছিল অফিস ও এখানে সেখানে যাতায়াত, সিঁড়ি ভাঙা। ফলে সারা শরীর সচল থাকত। এখন যত বেশি আরাম করে কাজ করছেন তত চাপ পড়ছে শরীরের প্রতিটি পেশী, সন্ধি, এমনকি চোখেও। সব মিলিয়ে সমস্যা বাড়ছে।

ভুলভাবে বসে কাজ করছেন

অফিসে নির্দিষ্ট দূরত্বে কম্পিউটার রেখে সঠিক চেয়ারে সোজা হয়ে বসে, ঘাড় সোজা রেখে কাজ করছেন। এখন বাসায় এমনভাবে কাজ করছেন যে শরীরের প্রতিটি পেশী, সন্ধি ভুল ভাবে থেকে যাচ্ছে বেশ খানিকটা সময়। আবার যখন অন্যভাবে বসলেন বা শুলেন, তখনও সেই এক ব্যাপার। শরীরের কোনও পেশী বা সন্ধিই যে ভাবে তার থাকার কথা, সে ভাবে থাকতে পারছে না। তার ফলই ব্যথা। যত এ জিনিস চালিয়ে যাবেন, তত বাড়বে ব্যথা।

ব্যথা রোধে করণীয়

• অফিসে যেমন চেয়ার টেবিলে বসে কাজ করতেন, এখনও সে ভাবে করুন। মাঝেমধ্যে এক-আধ বার বিছানা বা সোফায় বসে কাজ করলেও খেয়াল রাখুন ঘাড় ও কোমর যেন সোজা থাকে।

• চেয়ার টেবিলের উচ্চতা এমন রাখুন যাতে ঘাড় সোজা রেখে কাজ করতে পারেন।

• কাজের মাঝে ফোন এলে কাঁধ আর ঘাড়ের মাঝে ফোন ধরে কাজ চালিয়ে যাবেন না। হয় স্পিকার চালু করুন, না হলে ইয়ার ফোনে কথা বলুন, নয়তো কাজ বন্ধ রাখুন সেই সময়টুকু।

• সাধারণ চেয়ারে বসে কাজ করলে কোমরের কাছে কুশনের সাপোর্ট দিন।

• কম্পিউটারে ঘণ্টা খানেক কাজ করার পর মিনিট দশেক চোখের কাজ বন্ধ রাখুন৷ ফাঁকা পেয়েছেন বলে একটু টিভি দেখে নিলেন বা মোবাইল চেক করলেন, তা কিন্তু হবে না৷ একটু চলাফেরা কি স্ট্রেচিং করলে বা চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকলে চোখ, ঘাড়, কোমর সবই বিশ্রাম পাবে।

• ৮-১০ ঘণ্টা কাজের মাঝে কম করে দু’বার খোলা হাওয়ায় ১০-১৫ মিনিট ঘুরে আসুন। বাইরে যাওয়া তো এখন সম্ভব নয়, তাই ছাদেই একটু পায়চারি করে নিন।

• দিনে অন্তত এক বার কয়েকটি ব্যায়াম করুন।

• দিনে এক বার কী দু’বার ১৫-২০ মিনিট একটু জোরে হাঁটুন।

• কোমরের ব্যথা কম রাখতে করবেন ভুজঙ্গাসন ও শলভাসন।

• কাজের মাঝে উঠে একটু আড়মোড়া ভাঙার মতো করবেন।

খাওয়া-দাওয়া

বাড়ির খাবার যেমন খাচ্ছেন খান, সঙ্গে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার একটু খেতে হবে। কাজেই ডিম, দুধ, দই খাওয়ার চেষ্টা করুন নিয়মিত। পানি পান করুন পর্যাপ্ত। চা-কফি-কোল্ডড্রিঙ্কে-মদ-সিগারেটে কমান ভালো থাকতে পারবেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.