শিশুর প্রথম দাঁত উঠাকালে করণীয়

0 ৬৬৬

স্বাস্থ‌্য অনলাইন ডেস্ক : ছয়-সাত মাস বয়সে শিশুর মাড়িতে ছোট্ট ছোট্ট দাঁত গজাতে শুরু করে। আর তা দেখে আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠেন মা-বাবা। তবে এই দাঁত গজানোর সময় কিছু বিপত্তিও ঘটে। শিশুদের এ সময় মাড়ি শিরশির করে এবং ব্যথা হয়। কখনো তাদের জ্বরও হতে পারে। কেউ কেউ বেশ কান্নাকাটি করতে থাকে, কেউ হয়ে ওঠে খিটখিটে। এ সময় তারা যেকোনো কিছু পেলেই কামড়াতে চায়।

শিশুর এ রকম পরিবর্তনে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। পরিষ্কার তুলো বা কাপড় হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে মাড়ি পরিষ্কার করে দিলে সে একটু আরাম পাবে। জ্বর হলে প্যারাসিটামল ড্রপ দেয়া যায়। তবে এই সমস্যা খুবই সাময়িক মা-বাবাকে তাই ধৈর্য ধরতে হবে।

অনেকে শিশুকে থামাতে এ সময় চুষনি বা কামড়ানোর জন্য প্লাস্টিকের খেলনা দিয়ে থাকেন। এটা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি তো আছেই, তার ওপর শিশুর একটা বদভ্যাস তৈরি হয়। তবে এ সময় শিশুরা সবকিছু কামড়াতে চায় বলে তার হাত দুটো এবং আশপাশের খেলনা উপকরণগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার।

কোনো কোনো শিশুর দাঁত উঠতে দেরি হতে পারে। এই দেরি অস্বাভাবিক হলে, যেমন: এক বছরের কাছাকাছি হয়ে গেলে চিকিৎসককে জানান। কেননা, কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে দাঁত গজাতে দেরি হয়। আবার কোনো কোনো শিশু মাড়িতে দাঁত নিয়েই জন্মায়।

এটাও স্বাভাবিক দাঁত নয়। অনেক সময় এই দাঁতের কারণে তার বুকের দুধ পান করতে সমস্যা হয় বা মুখে ঘা হতে পারে। দন্ত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে এই দাঁত তুলে ফেলারও প্রয়োজন হতে পারে।

শিশুর স্বাভাবিক দুধদাঁত জন্মের পাঁচ ছয় মাস পর গজালেও এর মূল ভিত কিন্তু তৈরি হয়ে যায় মাতৃগর্ভে থাকতেই, তাই গর্ভকালীন অবস্থায় মায়ের প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।

ব্রেকিংনিউজ/

Leave A Reply

Your email address will not be published.