শেরপুর (বগুড়া)প্রতিনিধি : গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বগুড়ার শেরপুরের খামারকান্দি গ্রামে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যানের বানানো দুটো রাস্তার ইট তুলে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবেব বিরুদ্ধে। এঘটনায় শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৩নং খামারকান্দী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হিন্দুপাড়া হরিমন্দির হতে জনৈক আবু বক্করের বাড়ী ও ৪নং ওয়ার্ডের খামারকান্দি উত্তরপাড়া রকিব মাষ্টারের বাড়ী হতে জনৈক নজরুলের বাড়ী পর্যন্ত গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইটের রাস্তার কাজ করে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন। অথচ ওই রাস্তা দুটোতে নতুন কোন প্রকল্প গ্রহন না করে সলিং করা হবে মর্মে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই রাস্তা দুটো থেকে প্রায় ১০ হাজার পুরানো ইট তুলে নিয়ে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এছাড়া বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব ৪নং ওয়ার্ডের খামারকান্দি উত্তরপাড়ায় ৯৫ হাজার টাকার টিআর প্রকল্পধীন ড্রেন নির্মানে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সভাপতিকে না জানিয়েই অর্থ উত্তোলন পূর্বক নানা অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে ওই কাজ সম্পন্ন করে। অথচ ওই ড্রেন নির্মাণের একমাস না যেতেই ভেঙ্গে গেছে এবং বর্তমানে ওই ড্রেনটি সুবিধাভোগী এলাকাবাসীর এখন নানা ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে। রাস্তা নির্মাণে ইট বিক্রি, ড্রেনেজ প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিকারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের হাফিজুর রহমান, ফেরদৌস রহমান, আবুল কালাম, মাহবুব রহমান, রফিকুল ইসলাম মিন্টু, হাবিল এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মোখলেছুর রহমান স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে খামারকান্দি গ্রামের হিন্দুপাড়ার রামপদ, শ্রীপদ, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল হামিদ এবং হাফিজুর রহমান, ফেরদৌস রহমান, আবুল কালাম, মাহবুব রহমান, রফিকুল ইসলাম একাধিক ব্যাক্তিরা জানায় বিগত চার বছর পূর্বে উক্ত রাস্তার কাদা ও পানি সমস্যায় এলাকাবাসীর সমস্যা নিরসনে ১৫/২০ হাজার ইট বিছিয়ে রাস্তা করে দিয়েছিল তৎকালীন চেয়াম্যান আব্দুল মতিন। কিন্তু দু:খের বিষয় বর্তমান চেয়ারম্যান ওই রাস্তার সংস্কার ও সলিং করার না ভাঙ্গিয়ে ইটগুলো তুলে বিক্রি করেছে। তবে রাস্তা দুটোর থেকে প্রায় ১০ হাজার ইট তুলে নেয়ার অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীরা। অন্যদিকে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই পরিষদে বিভিন্নভাবে ভুয়া মাষ্টাররোল ও ভাউচার তৈরী করে উন্নয়নমূলক কাজের টাকা আত্মসাৎ, সরকারের পক্ষ হতে জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করা টিউবয়েল, খেলার সামগ্রী ও স্যানিটারী সামগ্রী প্রদান না করে আত্মসাৎ করারও অভিযোগ রয়েছে খোদ এলাকাবাসীসহ সংশ্লিষ্ট দু’জন ইউপি সদস্যদের মধ্যে।
এ প্রসঙ্গে খামারকান্দী ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাবের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি কোন অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত নয়, এমনকি এটা ষড়যন্ত্র বলে কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
লিখিত অভিযোগের বিষয়টি জানতে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।