সীমান্ত দিয়ে ১৩৯ জনকে বাংলাদেশে ঢুকালো ভারত

0 ২৪৩

নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতিতে সীমান্ত দিয়ে বহু মানুষকে বাংলাদেশে ঢুকাচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। দুই দফাই শুধু বেঙ্গালুরু থেকেই কথিত ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ ১৩৯ জনকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে ভারত। সর্বশেষে শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) সকালে ৫৭ জনকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে প্রতিবেশি দেশটি। তবে কোন সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে তা জানা যায়নি।

দেশটির প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা এখবর দিয়েছে।

২৬ দিন বেঙ্গালুরুর একটি হোমে আটকে রাখার পর, ৫৭ জনকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে কর্নাটক সরকার। শুক্রবার তাদেরকে ট্রেনে চাপানো হয় অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে। একটি আলাদা কামরায় তাদের রাখা হয়। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন ২২ জন পুরুষ, ২৫ জন নারী এবং ১০ শিশু।

এর আগে এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) আতঙ্কে চলতি মাসের ১ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ২১৪ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

জানা গেছে, মূলত এনআরসি ও নিপীড়ন আতঙ্কের কারণেই তারা চোরাই পথে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে। যারা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে এদের মধ্যে বেশির ভাগই মুসলমান। এরা এনআরসি আতঙ্ক ও স্থানীয় নির্যাতনে দেশ ছেড়ে চলে আসছেন। তারা আর ভারতে যাবেন না বলে বিজিবির কাছে জানিয়েছেন। সহায়-সম্বল নিয়ে তারা এদেশে চলে এসেছেন।

এর আগে মহেশপুরের খালিশপুর বিজিবি ৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল আহসান গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, আগে মাইগ্রেশন করে যারা ভারতে গিয়েছিলেন, তাদের সেখানে বসবাসে অসুবিধা হচ্ছে। নানাভাবে তারা চাপের মধ্যে পড়েছেন। তারাই ফিরে আসছে।

বেঙ্গালুরু পুলিশের দাবি, তাদের কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের কোনও প্রমাণ মেলেনি। আটককৃতদের ফোনের কল ডিটেলসেও প্রমাণ পাওয়া গেছে তারা বাংলাদেশি। আটককৃতদের কাজের টোপ দিয়ে আনা হয়েছিল। তাই তারা পাচার হয়ে এসেছে গণ্য করে আটকদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা রুজু করা হয়নি।

এদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মানবাধিকার কর্মী রঞ্জিত সুর এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভয়াবহ ঘটনা। কর্নাটক সরকার দেশের আইন-সংবিধান সব লঙ্ঘন করেছে। কাউকে এভাবে পুশব্যাক করা যায় নাকি! কোনো মামলা নেই ওদের বিরুদ্ধে। পুলিশ কী করে নিশ্চিন্ত হল ওরা বাংলাদেশি? ওরা পশ্চিমবাংলার বাঙালিও হতে পারে।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.