অক্সফোর্ডে ‘স্বাধীন কাশ্মীর’ নিয়ে বিতর্কসভা
বিডি সংবাদ24.কম অনলাই ডেস্ক: ‘স্বাধীন কাশ্মীর রাষ্ট্র’-গঠনের স্বপক্ষে আয়োজিত বিতর্কসভাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়াল যুক্তরাজ্যে। সংশ্লিষ্ট কর্মসূচির বিরোধিতায় একেবারে ‘মাঠে নেমে’ প্রতিবাদে সামিল হলেন ব্রিটিশ হিন্দু এবং ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয় শিক্ষার্থীরা। ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যে (ইউকে) বসবাসকারী হিন্দু ও ভারতীয়দের নিয়ে গঠিত একটি সংগঠন হলোÑ ইনসাইট ইউকে। তাদের তরফে গত ১৫ নভেম্বর শুক্রবার ভোর রাতে (স্থানীয় সময় অনুসারে) অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কসভা অক্সফোর্ড ইউনিয়নের বাইরে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়। ইনসাইট ইউকে-এর দাবি, ওই বিতর্কসভার যে বিষয়ে বিতর্কের আয়োজন করা হয়েছে, তার শিরোনাম দেয়া হয়েছে ‘এই হাউস স্বাধীন কাশ্মীর রাষ্ট্র গঠনে বিশ্বাসী’। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয় শিক্ষার্থীরা এবং ব্রিটিশ হিন্দু নাগরিকরা এর প্রতিবাদে সরব হন বলে দাবি করেছে ইনসাইট ইউকে কর্তৃপক্ষ। ইনসাইট ইউকে-এর তরফে ইতোমধ্যেই এ বিতর্কের বিরোধিতা করে অক্সফোর্ড ইউনিয়ন সোসাইটিকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠিতে দুই ব্যক্তির নাম বিশেষ করে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ দুই ব্যক্তি হলেনÑ মুজ্জাম্মিল আয়ুব ঠাকুর এবং জাফর খান। তারাই এ প্রস্তাবের সপক্ষের বক্তা। ইনসাইট ইউকে-এর অভিযোগ, এ দুজনের বিরুদ্ধে আগেও হিংসাত্মক চরমপন্থী গোষ্ঠী এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ইনসাইট ইউকে আরও দাবি করেছে, ইতোমধ্যেই ঠাকুরের বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণ এবং হিংসায় উসকানি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে যেসব সংগঠনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, তিনি তেমন সংগঠনের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলেন বলে দাবি করেছে ইনসাইট ইউকে।
তাদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ঠাকুরের নিজের একটি সংগঠন রয়েছে। যার নাম ‘ওয়ার্ল্ড কাশ্মীর ফ্রিডম মুভমেনট’। এছাড়া ঠাকুর ও তার বাবা যৌথভাবে একটি সংগঠন খুলেছেন। সেটি হলো- ‘মার্সি ইউনিভার্সাল’। ইনসাইট ইউকে-এর দাবি, এ সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্রিটেনের স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড তদন্ত করেছে। এমনকি এ সংগঠনগুলোর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের যোগাযোগ থাকার অভিযোগ ওঠায় চ্যারিটি কমিশন এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-ও তদন্ত চালিয়েছে। অন্যদিকে জাফর খান হলেন ‘জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট’ (জেকেএলএফ)-এর চেয়ারম্যান। তিনি কাশ্মীরি হিন্দুদের হত্যায় অভিযুক্ত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে দাবি করেছেন ইনসাইট ইউকে। এছাড়া ১৯৮৪ সালে ব্রিটেনে থাকাকালীন ভারতীয় কূটনীতিক রবীন্দ্র মাতরের অপহরণ ও খুনের ঘটনাতেও জেকেএলএফ যুক্ত ছিল বলে ইনসাইট ইউকে-এর তরফে অভিযোগ করা হয়েছে।
সূত্র: সাপ্তাহিক সোনার বাংলা