আগামীতে রপ্তানী আয়ের অন্যতম উৎস হবে বাংলাদেশের আম – কৃষিমন্ত্রী

0 ৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামীতে রপ্তানী আয়ের অন্যতম উৎস হবে বাংলাদেশর আম, বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম। আম সারা পৃথিবীতে সমাদৃত একটি ভাল ফল। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের সুনাম বিশ্বব্যাপী।

 

আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রে আয়োজিত আম চাষী ও ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

মন্ত্রী চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রকৃতির আশির্বাদের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে নানা ধরনের আম হয় কিন্তু যখন দেখি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া, গোপালভোগ কিংবা হিমসাগর তখন মনটা অন্য রকম হয়ে যায়। তখন মনে হয় এ আমই আমাকে সবচেয়ে বেশি তৃপ্ত করবে। তিনি বলেন, প্রকৃতির আশির্বাদে আপনারা অবশ্যই গর্বিত, অবশ্যই অহংকার করতে পারেন।

 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের রপ্তানী আয়ের বড় অংশ জুড়েই আছে পোষাক শিল্প, কিস্তু এটা কোন কারণে যদি সমস্যায় পড়ে তাহলে আমরা কী করব ? সেই দিক বিবেচনায় নিয়ে, আমাদের কৃষি পণ্য রপ্তানীতে গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা কৃষি পণ্য রপ্তানীতে গুরুত্ব দিচ্ছি, বিশেষ করে আম রপ্তানীর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। রপ্তানীর জন্য ভ্যাপার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ ও ঢাকাতে একটা করে ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করা হবে। প্যাকেজিং এর জন্য পুর্বাচলে প্রধানমন্ত্রী এক একর জমি দিয়েছেন, সেখানে ল্যাবরেটরিসহ সব সুবিধা থাকবে।

 

আম পরীক্ষার পর প্যাকেজিং হয়ে সরাসরি বিদেশে রপ্তানী হয়ে যাবে।

 

মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য ড. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, নারী সংসদ সদস্য ফেরদৌসি ইসলাম জেসি, বারির মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলাম, আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হরিদাস চন্দ্র মোহন্ত ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

 

মতবিনিময় সভা শেষে মন্ত্রী চারজন আম চাষীকে বারি আম ৪ ও বারি আম ১১ জাতের চারা বিতরণ করেন। পরে মন্ত্রী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রে একটি বারি আম ১১ (বারোমাসি) জাতের চারা রোপণ করেন।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.