আজ রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করবে সরকার
বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক হানদারদের দোসর হয়ে যারা দেশের বিরোধিতা করেছে এবং পাক সেনাদের সঙ্গে মিশে মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হয়েছে তাদের নামের তালিকা আজ প্রকাশ করছে সরকার।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে একাত্তরের রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্যদের নাম প্রকাশ করবেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।ব্রেকিংনিউজ
মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা সুফি আবদুল্লাহিল মারুফ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নামের তালিকা ঘোষণার পর তা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হতে পারে। তবে নতুন কোনও তালিকা হচ্ছে না। কিন্তু রাজাকার বাহিনীর সদস্য হিসেবে যারা ভাতা নিয়েছেন, যাদের নামে অস্ত্র এসেছে, তাদের নাম-পরিচয় ও ভূমিকাসহ রেকর্ড বা তালিকা একাত্তরেই জেলাসহ স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার সংগ্রহে ছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেই রেকর্ড সংগ্রহ করে একাত্তরের রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্যদের তালিকা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নামের তালিকা প্রকাশের একদিন আগে গতকাল শনিবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘নতুন প্রজন্মকে রাজাকার ও মানবতাবিরোধীদের সম্পর্কে জানানোর জন্যই এ তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। রাজাকারের সংখ্যা ১১-১২ হাজার হবে হয়তো।’
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে পাক সেনাদের সহযোগী হিসেবে ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে অনানুষ্ঠানিকভাবে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। এর পাঁচ মাস পর সেপ্টেম্বরে রাজাকার বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে।
ওই সময় সারা দেশে গ্রামেগঞ্জে বেসিক ডেমোক্রেসি মেম্বাররা রাজাকার বাহিনীতে লোক সংগ্রহের কাজ শুরু করে। সেই মেম্বারদের সঙ্গে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয় পাকিস্তানপন্থি জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম, মুসলিম লীগ, জামাতে ওলামা ও কনভেনশন মুসলিম লীগের মতো দলগুলো। এই দলগুলোর নেতারাই রাজাকার বাহিনীর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। যদিও একাত্তরে এই বাহিনী গড়ে উঠেছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনী ও তাদের জেনারেলদের স্বার্থে এবং হস্তক্ষেপে।
বেতনভুক্ত ওইসব রাজাকার ও স্বাধীনতা-পরবর্তী যাদের বিরুদ্ধে দালাল আইনে মামলা হয়েছিল তাদের নিয়েই রাজাকারদের এই তালিকা চূড়ান্ত করেছে সরকার। যা আজ দেশবাসীর সামনে প্রকাশ করা হবে।