পাবনা প্রতিনিধি : শৈশব ও বাল্যকালের বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট রাখতে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার ঐতিহ্য বাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেবোত্তর কবি বন্দে আলী মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৮৮ থেকে ২০২২ সালের এসএসসি ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে র্্যালী, আলোচনা সভা, স্মৃতি চারণ, ক্রেস বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত রবিবার সারাদিন ব্যাপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১৯৮৮ সাল থেকে ২০২২ সালের এসএসসি ব্যাচের পুনর্মিলনী ও ৩৫ বছর উদযাপনে সকাল নয়টায় এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র্্যালী বের করা হয়। র্্যালীটি বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে দেবোত্তর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এতে ১৯৮৮-২০২২ সালের এসএসসি ব্যাচের প্রায় সাত শতাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
আয়োজকরা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা ‘১৯৮৮-২০২২’ সালের এসএসসি
ব্যাচ ‘দেবোত্তর কবি বন্দে আলী মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ খোলা হয়। সেখানে যুক্ত হন পুরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএসসি ব্যাচের বন্ধুরা। এরপর একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ছিল বাধভাঙা উচ্ছ্বাস আনন্দ।
দীর্ঘদিন পর একে অপরকে পেয়ে সেলফি তোলা, গল্প, আড্ডা, স্কুল জীবনের স্মৃতি আওড়ানো, সংসার জীবনের বর্তমান ব্যস্ততা—সব মিলিয়ে একটা প্রাণবন্ত উৎসবে মেতে ওঠেন সবাই। সবার গায়ে ছিল একই রঙের টি-শার্ট।
প্রথমেই পরিচিতি পর্ব, দুপুরের খাবার, নাচ-গান ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গান পরিবেশন করেন ব্যাচের বন্ধু ও তাদের পরিবার।
হাইস্কুল-কলেজ জীবনের হারিয়ে যাওয়া বাঁধভাঙা বন্ধুত্বের এক একটা পরিচ্ছেদকে আরেকবার ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ মেলে এই আয়োজনে। বন্ধুত্বের সীমানা ছাড়িয়ে যায় সব বন্ধুদের। এসএসসি-১৯৮৮-২০২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী বিভিন্ন জন নানা পেশায় চলে গেছেন, তাদের মধ্যে অনেকে ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনজীবী
ব্যাংকার, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, বড় রাজনীতিবিদ, সামরিক ও বেসামরিক অফিসার, কেউবা আবার শিক্ষক ও ব্যবসায়ী। কেউবা প্রবাসী। কিন্তু পরিচয় সবার যেন এক, সেটা হলো ‘আমরা স্কুল বন্ধু’।
অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন ‘এসএসসি ব্যাচের বন্ধুরা। তার মধ্যে রয়েছেন সমন্বয়কারী কমিটির আহবায়ক, সদস্য সচিব, কোষাধ্যক্ষ, সহ এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৮-২০২২ এর অনেক বন্ধুরা।
আয়োজবৃন্দ জানান, আগামীতেও সব বন্ধু মিলে আমাদের এই ব্যাচকে সাংগঠনিক রূপ দেওয়ার মাধ্যমে আর্থিকভাবে যারা পিছিয়ে আছেন, কিংবা মেধাবী সন্তানদের পড়াশোনায় সহায়তা, বন্ধুদের যেকোনও বিপদে ও আনন্দে পাশে থাকা ও রাষ্ট্রীয় কোনও দুর্যোগে মানবিক কর্মকাণ্ডে মানুষের পাশে থাকবে।