আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন আইয়ুব বাচ্চু!

0 ৪০৬

বিনোদন ডেস্ক: চলতি মাসের ১৮ তারিখ ছিলো বাংলা ব্যান্ডের পথিকৃৎ, শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। মাত্র ৫৬ বছর বয়সে কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। রেখে গেছেন তার অমর সঙ্গীত। জীবনের শেষ রাত পর্যন্ত গানের সাথেই ছিলেন গান পাগল এই মানুষটি। আর এমন মানুষই কনসার্ট নিষিদ্ধ হলে আত্মহত্যা করতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক।

আইয়ুব বাচ্চুর ব্যক্তিজীবনের এই অজানা কথাটি জানানেল, আরেক তারকা অভিনেতা সুমন পাটোয়ারি। অভিনয় জগতে আসার আগে পেশায় সুমন ছিলেন সাংবাদিক। পেশাগত কাজে আইয়ুব বাচ্চুর সাথে তার সম্পর্ক হলেও সেই সম্পর্ক রূপ নেয় বন্ধুত্বে, যা ছিলো আমৃত্যু। সুমনের ভাষায়, তার সাথে আমার সম্পর্ক সেই পঁচিশ বছরের।

এককথায় আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে এই জনপ্রিয় অভিনেতা বলেন, তিনি ছিলেন ম্যাজিশিয়ান। শুধু মিউজিকে না, মানুষকে আপন করার ক্ষেত্রেও। তিনি খুব সহজে সবাইকে আপন করে নিতে পারতেন।

তবে গিটার জাদুকর বেশ অভিমানীও ছিলেন। আর সেই কথার সাক্ষ্য রাখতেই সুমন জানালেন কিংবদন্তি এই শিল্পীর এক অজানা কথা। ‘একবার ঘোষণা দেওয়া হলো কনসার্ট করা যাবে না। আর বাচ্চু ভাই বললেন, তিনি আত্মহত্যা করবেন’! বিস্ময়ের সাথে কথাটি বললেন সুমন।

শিল্পীর অনুরাগে ভালোবাসায় এই অভিমান এখন মনে করে সুমন হাসলেও সঙ্গীতের প্রতি একজনের ভালোবাসার দাগ যে তার মনে কেটে আছে, সেটা বলাই বাহুল্য!

আইয়ুব বাচ্চুর একক অ্যালবাম

ময়না (১৯৮৮) কষ্ট (১৯৯৫), সময় (১৯৯৮), একা (১৯৯৯), প্রেম তুমি কি (২০০২), দুটি মন (২০০২), কাফেলা (২০০২), প্রেম প্রেমের মতো (২০০৩), পথের গান (২০০৪), ভাটির টানে মাটির গানে (২০০৬), জীবন (২০০৬), সাউন্ড অব সাইলেন্স (২০০৭), রিমঝিম বৃষ্টি (২০০৮), বলিনি কখনো (২০০৯) জীবনের গল্প (২০১৫)।

এলআরবির অ্যালবামগুলো

এলআরবি (১৯৯২), সুখ (১৯৯৩), তবুও (১৯৯৪), ঘুমন্ত শহরে (১৯৯৫), ফেরারী মন (১৯৯৬), স্বপ্ন (১৯৯৬), আমাদের বিস্ময় (১৯৯৮), মন চাইলে মন পাবে (২০০০), অচেনা জীবন (২০০৩), মনে আছে নাকি নেই (২০০৫), স্পর্শ (২০০৮) এবং যুদ্ধ (২০১২)।

Leave A Reply

Your email address will not be published.