অলিউল হক ডলার, নাচোল: “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই”-কথাটি আবারও প্রমাণিত হলো,স্থাপিত হলো আরও একটি মানবতার দৃষ্টান্ত। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় আজ সকালে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মুমূর্ষু(মৃত প্রায়) আদিবাসী নারীকে এনমাস টিম রাস্তার পাশ থেকে তুলে নিয়ে সেবা-যত্ন করে কিছুটা সুস্থ করে ফিরিয়ে দিল তার পরিবারের কাছে।
হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা, নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ সাকিল আহম্মেদ, এনমাসের সভাপতি শাকিল রেজা, সাধারণ সম্পাদক সাগর আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সঞ্জয় দত্ত ও এনমাসের সদস্যরা। এসময় রোগীর পক্ষ থেকে তার ভাই রবি ও তার দেবর সুরেন ও আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
ওই মুমুর্ষ রোগীর নামঃ রানী বাস্কী,পিতাঃ মৃত চুঁড়ে বাস্কি, স্বামীঃ মৃত ঠাকুর টুডু, গ্রামঃ আঘোর, ডাকঘরঃ বালাতৈড়, থানাঃ নেয়ামতপুর। সকালে রোগীর আত্মীয় স্বজন আসলে সকল তথ্য প্রমানের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে নাচোল থানার মাধ্যমে তাঁকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য যে, গতকাল এক আগুন্তকের ফোন পেয়ে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনমাস(নাচোল মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি) এর সভাপতি শাকিল রেজার কাছে। ফোন পেয়েই অচেতন নারীর পড়ে থাকার ঘটনাস্থল নাচোল বাসস্ট্যান্ড মোড়ে আসেন শাকিল রেজা।
শরীরে পোকামাকড় লেগে থাকা জ্ঞানহীন ও বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পেলে সাথে সাথে নাচোল থানা, ফায়ার সার্ভিস ও পৌরমেয়রকে ফোন দেন তিনি।
পৌরমেয়র আব্দুর রশিদ খান ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই চলে আসে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। ওই অজ্ঞাত নারীর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গাড়িতে তুলে নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। এনমাস টিম সদস্যরা তাকে ভর্তি করে গোসল করিয়ে কাপড় পড়িয়ে দিলে তাঁকে দ্রুত স্যালাইন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন গ্রুপে ছবিসহ ছড়িয়ে দিলে, রাতে তার পরিবারের লোকজনের ফোন আসতে থাকে। আজ সকালে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।