আলমডাঙ্গাতে সাক্ষী দেওয়ায় খুন হলো এক বৃদ্ধা

0 ২৯৪

আল-আমিন হোসেন: আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাক্ষী দেওয়ায় ইশারন খাতুন নামে এক মহিলাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী জিন্নাহ আলীকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার রাত ১০টার দিকে আলমডাঙ্গা  উপজেলার শিয়ালমারি গ্রামে নিজ বাড়ির সামনের রাস্তার ওপর তাকে কুপিয়ে ফেলে রাখে অভিযুক্ত প্রতিবেশী জিন্নাহ আলী। এ সময় স্থানীয়রা বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ক্ষতস্থানে অসংখ্য সেলায় দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া নেওয়ার পরামর্শ দেন। তার শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হলে মঙ্গলবার (২৩ মে) ভোরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

ঈশারন খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার শিয়ালমারি গ্রামের উত্তরপাড়ার ফজলুর রহমানের স্ত্রী।
অন্যদিকে আটক জিন্নাহ আলী একই গ্রামের মৃত শামসুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল২০২৩ (বৃহস্পতিবার) আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের শিয়ালমারি গ্রামের বানাতখাল মাঠে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৪০০ বিঘা জমির ভুট্টাক্ষেতসহ পানের বরজ পুড়ে যায়। অভিযোগ উঠে স্থানীয় চাষি জিন্নাহ আলী তার নিজের ভুট্টার জমি পরিষ্কার করার জন্য ভুট্টার ডাটনি বা খড়িতে আগুন দিলে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। যার ফলে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ।এই অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাতের  সাক্ষী দেন বৃদ্ধা ঈশারন খাতুন।

এতে জিন্নাহ আলীকে দুই লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এই ঘটনার জের ধরে সোমবার রাত ১০টার দিকে বৃদ্ধাকে তার নিজ বাড়ির সামনে নির্মমভাবে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। সাধারণ মানুষের দাবি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এমন এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে।  সত্য সাক্ষ্য দেওয়াতে যদি এমন পরিণত ভোগ করা লাগে, তাহলে ভবিষ্যতে আর কেউ সত্য সাক্ষ্য দেওয়ার  সাহস পাবে না।

এ বিষয়ে ওসি বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ঘটনার পর পরই আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে  অভিযুক্ত জিন্নাহ আলীকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.