
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক মীর আলহাজ হোসেন সঞ্চালনায় নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার দীর্ঘ ১৪ বছর গুম-খুন ও ক্রস-ফায়ারের সরকারে রূপান্তরিত হয়েছে। আজ তারা বাংলাদেশের সবথেকে সুশৃঙ্খল বাহিনী দ্বারাও ভিন্নমত ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের গুম করে আয়নাঘর নামক স্থানে জিম্মি করে রাখে। আয়নাঘর থেকে ছাড়া পেয়ে এরইমধ্যে ভুক্তভোগী অনেকে তাদের বক্তব্য প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, শুধু যে ডিজিএফআই এর আয়নাঘর আছে তা না। সকল বাহিনীই টর্চার সেলের মাধ্যমে গুম-খুন ও নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের আন্দোলন জোরদার করা। অন্তর্ধানের বা গুমের স্বীকার হয়েছেন যারা তাদের মুক্তি ও জাতিসংঘের মাধ্যমে তদন্ত কারারও দাবি জানান তিনি।
ছাত্র অধিকার সভাপতি নাইমুল ইসলাম নাইম বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিরা যখনই সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলছে তখনই তাদেরকে গুম করা হচ্ছে। এই আওয়ামীলীগ সরকার ১৪ বছর শাসন করে দেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করেছে।
সরকার রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় হত্যা, খুন,গুম করে তৈরী করেছে ভয় এর সংস্কৃতি। ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়নাঘরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বাসায় ফোন দিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে এই গুমতন্ত্রের পতনের মাধ্যমেই আমাদের ৩০ লক্ষ শহীদ এবং ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করবে।
এসময় নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সাথে সংহতি জানিয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্র ফেডারেশন ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চ।
Comments are closed.