স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামীলীগ সবসময় মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য কাজ করে। অন্যদিকে বিএনপির নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি সেই অগ্রযাত্রা বারবার বাধাগ্রস্ত করছে।
এখন তারা মহা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু তাদের কোন ষড়ষন্ত্রই কাজে আসবে না। বুধবার বিকেলে পবা উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভার তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে আসাদ এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে তৃণমুল নেতা কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন আসাদুজ্জামান আসাদ। এসময় তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ মানুষের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশ আজ কতটা এগিয়েছে সেকথা শুধু দেশের মানুষই নয় বিদেশীরাও অবগত। দেশের প্রতিটি নাগরিক উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে।
আর একারণেই প্রতিটি সচেতন মানুষ স্বীকার করে এই দেশেকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে আবারো দরকার জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা আজ মহাব্যস্ত। মহা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা। যদিও তাদের কোন ষড়যন্ত্রই আর কাজে আসবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনা জানেন কিভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হয়।
তিনি জানেন, কিভাবে দেশকে ভালোবাসতে হয়, দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হয়। কিভাবে এগিয়ে নিতে হয় প্রিয় মাতৃভূমিকে সেটাও তিনি জানেন।দ
লীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে আসাদ বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা মিথ্যাচার করছে। অপপ্রচার চালাচ্ছে। আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মনোবল নষ্ট করতে তারা নানান অপকৌশল করছে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে এসব অপকৌশলের বিষয়ে। জবাব দিতে হবে প্রতিটি অপপ্রচারের।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক হোসেন ডাবলু, যুব ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাক আহমেদ, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আজম সেন্টু, পারিলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বারী ভুলু, মুণ্ডমালা পৌরসভার মেয়র সাইদুর রহমান, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি আবুল হোসেন।
আরো বক্তব্য রাখেন পারিলা ইউনিয়ন মহিলা লীগের সভাপতি ফাহিমা, বড়গাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক রহমান মাসুম, রাজশাহী জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক রফিকুজ্জামান রফিক ও উপপ্রচার সম্পাদক শাহাদাত হোসেন পিন্টু।
এছাড়াও পবা উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার তৃণমূল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।