নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরের বালাতৈড় শিশু সদন থেকে গত শনিবার দুপুরে হারিয়ে যাওয়া শিশু গোলাম রাব্বি (১১) কে রাজশাহী থেকে উদ্ধার করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুনের সহযোগিতায় শিশুটিকে পাওয়া যায় রাজশাহীতে। গোলাম রাব্বি উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের রশিদ পাড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।
গোলাম রাব্বি জানান, একজন অপরিচিত ব্যক্তি আমাকে খাওয়ার জন বালাতৈড় বাজারের স্টলে নিয়ে যায়। খাওয়া শেষে গল্প করতে করতে এক অটোরিকশায় করে মান্দা উপজেলার চৌবারিয়া হাটে নিয়ে যায়। সেখানে একটি বাসে উঠিয়ে দেন সেই ব্যক্তি। বাস থেকে নেমে আমি যখন কোথায় আছি বুঝতে পারছি না, এমন সময় একজন লোককে জিজ্ঞেস করলে লোক বলে আমি এখন রাজশাহীতে। আমি তখন কান্না শুরু করলে লোকজন আমাকে ঘিরে ধরে। সেখান থেকে এক মাদ্রাসা ছাত্র আমাকে তার ওখানে নিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উদ্ধারকারী ব্যক্তি নওগাঁ জেলার ধামুরহাট উপজেলার আতাউর রহমানের ছেলে মুজাহিদ হাসান।
মুজাহিদ হাসান প্রতিবেদককে বলেন, লোকজনের ভিড় দেখা আমি এগিয়ে যাই। সেখানে দেখি গোলাম রাব্বি কান্নাকাটি করছে। তার সাথে কথা বললে রাব্বি বলে আমার বাসা নিয়ামতপুর । আমি সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে আমার পরিচিত নিয়ামতপুরের এক বন্ধুকে ফোন দিয়ে ইউএনওর নাম্বার নিয়ে ফোন দিলে ইউএনও ছেলেটিকে আমার কাছে রাখতে বলেন।
এদিকে শিশুসদন থেকে বাচ্চা হারিয়ে যাবার খবরে এলাকায় শোকের ছায়া পড়ে যায়। শিশু সদনের প্রধান শিক্ষক ও বাচ্চাটির অভিভাবক আত্মীয়-স্বজনেরকাছে খোঁজ খবর করলেও তাকে না পাওয়ায় রবিবার সকালে থানায় এসে জিডি করার সময় জানতে পারে বাচ্চাটি ইউএনও অফিসে আছে।
রাব্বির বাবা খলিলুর রহমান বলেন, ছেলেটির হারিয়ে যাবার খবর শোনার পর আমি প্রায় পাগল হয়েগেছি । আত্বিয়স্বজনের বাড়িসহ এলাকার সকল জায়গায় খোঁজ করা হয়েছে। ইউএনও স্যারের সহযোগিতায় তাকে ফিরে পেলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মুজাহিদের কাছ থেকে ফোন পাওয়ার পর তাকে নেওয়ার জন্য আমার অফিসের আলী হাসানকে রাজশাহীতে পাঠানো হয়।আলী হাসান শিশু রাব্বিকে নিয়ে বসলে পরিচয় সনাক্ত করার পর তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
Comments are closed.