ইরানের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ অস্ট্রেলিয়ার

0 ৭৮

বিডিসংবাদ ডেক্স: মাহসা আমিনির জেল ও মৃত্যুর দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে ইরানের কর্মকর্তাদের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ২২ বছর বয়সী কুর্দ-ইরানীয় এ নারীকে ‘বেঠিকভাবে’ হিজাব পরার জন্য ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রবিষয়কমন্ত্রী পেনি ওং গত ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার বলেন, ‘সাম্য ও ক্ষমতায়নের জন্য ইরানের নারী ও মেয়েদের যে লড়াই’ তার পাশে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ইরানে বিক্ষোভের ‘সহিংস দমন-পীড়নে’ যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছে যে সকল সিনিয়র নিরাপত্তা ও আইন বলবৎকারী কর্মকর্তাদের সম্পর্কে তাদের ওপর আর্থিক ও চলাচলগত নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছেন ওং। তিনি বলেন, ইরানে মানবাধিকার পরিস্থিতি ‘শোচনীয়’ কারণ নারী সমাজকর্মীদের আটক অব্যাহত রয়েছে এবং তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হচ্ছে। ওং অস্ট্রেলীয় ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে বলেছেন, দুই বছর আগে আমিনির মৃত্যুর সময় থেকে ইরানীয় প্রশাসন কর্তৃক নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। ওং বলেন, ‘আমরা পাঁচজন ইরানীয় নিরাপত্তা ও আইন বলবৎকারী কর্মকর্তাকে নিষিদ্ধ করেছি যারা তথাকথিত এসব আইন প্রয়োগের কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।’
অধিকার গোষ্ঠী অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়ার প্রচার বিভাগের সাথে যুক্ত নিকিতা হোয়াইট গত ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ইরানে মানবাধিকারের দ্রুত অবনতি হয়েছে। ইরানের সাথে সম্পৃক্ত প্রায় ২০০ ব্যক্তি ও সংগঠনের ওপর বর্তমানে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এদের মধ্যে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরাও রয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে এই সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে কানাডা। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রও একইরকম পদক্ষেপ নিয়েছিল। সোমবার ক্যানবেরায় বিরোধী আইনপ্রণেতা ও ছায়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইমন বার্মিংহ্যাম ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে অনুরোধ করেছেন। চলতি মাসের শুরুতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির ঘোষিত নিষেধাজ্ঞাকে ‘অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ’ বলে অভিহিত করেছেন। ভয়েস অব আমেরিকা।

 

সূত্র: সাপ্তাহিক সোনার বাংলা

Leave A Reply

Your email address will not be published.