ইসরায়েলের হামলায় গাজায় বাস্তুচ্যুত ৪ লাখের বেশি মানুষ
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলা ও বৃষ্টির মতো বোমাবর্ষণে বিপর্যস্ত ফিলিস্তিনের মানুষ। মৃত্যুর ভয়ে ইতোমধ্যে চার লাখের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় মানুষ গণহারে বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন। এই সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়েছে। গাজার অনেক মানুষ সুপেয় পানির সংকটে পড়েছেন। সেখানে পানি সরবরাহব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। এতে বিভিন্ন রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা শহর থেকে সব বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। তবে, বাসিন্দারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানান।
এ বিষয়ে হামাস জানায়, তারা শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও লড়াই চালিয়ে যাবে। হামাসের রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ব্যুরোর প্রধান বাসেম নাইম বলেন, আমাদের কাছে দুটি বিকল্প আছে। হয় এই দখলদারিত্বকে পরাস্ত করব, নতুবা বাড়িতেই প্রাণ দেব। আমরা গাজা ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না।
পরে ওই দিন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। পদাতিক বাহিনী ও ট্যাঙ্ক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এই হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৩০০ জন। এ ঘটনায় ইসরায়েলের ১৫০ জন নাগরিককে বন্দি করেছে হামাস। তাদের গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর জবাবে গাজার শাসক গোষ্ঠীটিকে ‘মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার’ প্রতিজ্ঞা করে পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
চলমান সংঘাতে ছয় দিনে গাজায় ছয় হাজার বোমা নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ইতোমধ্যে গাজায় এক হাজার ৯শ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬১৪ শিশু ও ৩৭০ জন নারী রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৬১২ জন।