ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

0 ৪০৫

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীয়তে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার সকাল ৭টায় রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও দলের সিনিয়র নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। দলীয় সভাপতির শ্রদ্ধা জানানোর পর আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এদিকে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন ৭ মার্চ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দিনটি উদযাপনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

পঞ্জিকার পাতা ঘুরে সাতই মার্চ এসেছে, যেদিন বাঙালির স্বাধীনতার ডাক এসেছিল। এবার বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের সেই দিনটি এসেছে ভিন্ন মহিমায়। কারণ এ মাসেই বাংলাদেশ উদযাপন করছে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। একই সঙ্গে চলছে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর উদযাপন। মুক্তির স্বপ্নে ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতার ডাক দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সেই ভাষণে স্বাধীনতার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে বাঙালি।

২৩ বছরের বঞ্চনার ইতিহাস ১৯ মিনিটে তুলে ধরে তৎকালীন রেস কোর্সের (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, “রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

ওই ভাষণের ১৮ দিন পর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামে। আর তখনই বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। পাকিস্তানি শোষক, দখলদার ও তাদের এদেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আসে স্বাধীনতা। আর পরাজিত পাকিস্তান সেনাবাহিনী একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই আত্মসমর্পণের দলিলে সই করে।

সাতই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব বিবেচনায় জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো ২০১৭ সালে এ ভাষণকে ‘ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজের’ মর্যাদা দিয়েছে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.