কয়েক বছরের শান্তির পর বঙ্গোপসাগরে সংঘাত আশঙ্কা নিয়ে উদ্বেগ
দক্ষিন চীন উপসাগরীয় অঞ্চলের অতিরিক্ত অংশে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করছে চীন। এতে করে এই অঞ্চলে আবারও সংঘাত শুরু হতে পারে। যার ফলে বঙ্গোপসাগরের প্রাকৃতিক সম্পদ হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। তাইওয়ান, ফিলিপাইন, ব্ধসঢ়;রুনাই, মালেয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামের মধ্যে ভাগ হওয়া একটি অঞ্চলে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন এবং একটি কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণের মাধ্যমে চীন এখানে তাদের প্রভাব খাটাবে। এই অঞ্চলের সামুদ্রিক বিরোধ সামুদ্রিক আইনের অধীনে সমাধান করা হয়। বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে সমুদ্র আইনের অধীনে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলা করে। মামলা দুটি ২০১২ এবং ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল দ্বারা নিষ্পত্তি হয়েছিল।
এথেকে সমুদ্রে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনার দ্বার খুলে যায় এবং সমুদ্র থেকে তেল,গ্যাস ও অন্যান্য খনিজ সম্পদ আহরণ থেকে শুরু করে খাদ্য নিরাপত্তা, মাছ ধরা, পর্যটন এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তাসহ অনেক কিছুর অধিকার অর্জন করে, যেটিকে বাংলাদেশ সরকার ‘সুনীল র্অনীতি’ নামে নামকরন করেছে। সামুদ্রিক আইন অনুসারে, একটি দেশ আঞ্চলিক সমুদ্রে ১২ নটিক্যাল মাইল থেকে২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সব ধরণের প্রাণীজ ও অ-প্রাণীজ সম্পদের র্অনৈতিক অধিকারী।
রুকসানা কিবরিয়া, অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বলছেনে, বাংলাদেশের অধিকৃত বঙ্গোপসাগর নিয়ে ভারত ও মায়ানমারের মধ্যে বিরোধ ছিল যা সমুদ্র আইনের অধীনে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি হয়েছে। এখনও এর মাধ্যমেই আমাদেরকে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে হবে।
গত ৪০০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইনের দুটি অধ্যাদেশ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশই ‘ওপেন সি’ অধ্যাদেশ মেনে থাকে, যা চীন মানতে চাচ্ছে না। এতে চীন এ রুটে যে কোন ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিতে পারবে। যদিও এই বিরোধ নিস্পত্তির সম্ভাবনা ফিলিপাইনের পক্ষে আছে কিন্তু চীন এ দাবি মানতে চাচ্ছে না। তাই সব আন্তর্জাতিক মহলকেই এ নিয়ে কথা বলতে হবে।
মুন্সি ফায়াজ আহমেদ (প্রাক্তন সচিব ও রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশ সরকার) বলছেনে, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ এক লক্ষ আঠার হাজার বর্গ কিলোমিটার সমুদ্র নিজেরদের অধীনে পেয়েছিলো যা কেউ আগে কল্পনাও করতে পারেনি এবং এটা সবাই মেনে নিয়েছিলো। এর ফলে আমাদের যতটুকু স্থলভাগ আছে তার প্রায় সমপরিমান সমুদ্রসীমাও অর্জিত হয়, এতে খুলে যায় ব্যাপক সম্ভাবনার দরজা।
এখন এটি রক্ষা করার দায়িত্বও নিতে হবে। সূত্র : A24 News Agency
Comments are closed.