‘কামব্যাক’, সৌরভের মতোই নবজন্ম মহারাজের হাতেখড়ি হওয়া ক্লাবের

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়সহ বাংলার বহু বড় ক্রিকেটারের জন্ম দেওয়া ক্লাব তার নবযাত্রা শুরু করছে।

0 ৩৭৯

আবার খুলছে দুখীরাম ক্রিকেট কোচিং সেন্টার। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়সহ বাংলার বহু বড় ক্রিকেটারের জন্ম দেওয়া ক্লাব তার নবযাত্রা শুরু করছে। ২০০০ সালের পর থেকেই চারিদিকে ব্যাঙের ছাতার মত ক্রিকেট কোচিং সেন্টার গজিয়ে উঠতে শুরু করে। তখন থেকেই আস্তে আস্তে ক্রিকেট ঐতিহ্যের অবসান ঘটতে শুরু করেছিল। সঠিক মানুষের অভাবে একসময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দুখীরাম ক্রিকেট কোচিং সেন্টার যা তার নতুন যাত্রা শুরু করছে।

 

 

দুখীরাম ক্রিকেট কোচিং সেন্টারকে তার নব সূচনা যাত্রায় সাহায্য করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং এরিয়ান ক্লাবের ক্রিকেট সচিব শোভন মিত্রর উদ্যোগে এবং শ্রী সমর পাল। স্যার দুখীরাম মজুমদারের বাসভবনটি আজও প্রাচীন ঐতিহ্য বহন করে চলেছে শহর কলকাতায়। এই ও.মজুমদার হলেন ওমেশচন্দ্র মজুমদার। ইনিই ক্রীড়া জগতে স্যার দুখীরাম মজুমদার নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি ফুটবল, ক্রিকেট দুটোতেই ভারতজোড়া খ্যাতি পেয়েছিলেন। বাংলার ক্রিকেট যাঁকে কোনওদিন ভুলবে না। সম্প্রতি দুখীরামবাবুর জীবনী লিখেছেন ক্রীড়া সাংবাদিক হরিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর নামেই ৬০এর দশকে প্রথম ক্রিকেট কোচিং সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শহর কলকাতায়| যে ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন প্রাক্তন বাংলার অধিনায়ক শ্রদ্ধেয় শ্রী কমল ভট্টাচার্য্য।

 

 

শহর কলকাতায় দুখীরাম ক্রিকেট কোচিং সেন্টার অন্যতম প্রাচীন ক্রিকেট কোচিং সেন্টার| প্রায় শতাধিক ক্রিকেটার এই ক্রিকেট কোচিং সেন্টার থেকে একসময় উঠে এসেছিল। শ্রদ্ধেয় শ্রী কমল ভট্টাচার্য্যের হাত দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীকালে এই ক্রিকেট সেন্টারের হাল ধরে ছিলেন শ্রী অশোক মুস্তাফি, শ্রী সনৎ কুমার মিত্র, শ্রী সন্তোষ ভট্টাচার্য্যের মত প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা। ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে এই কোচিং সেন্টার থেকে ত্রিণাঞ্জন ব্যানার্জ্জী, সত্যেন ভট্টাচার্য্য, সৌরভ ঘোষ, পুলক দাস, সঞ্জয় দাস, প্রবাল দত্ত, শীলাদিত্য মজুমদার, সুপ্রিম গাঙ্গুলী, অমিত শর্মা, ধর্মেন্দ্র সিং এর মত ক্রিকেটাররা উঠে এসেছিল| এমনকি বাংলার সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলীর হাতেখড়িও এই ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে হয়েছিল।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.