কিশমিশের এত গুন!

0 ৩৭০

কিশমিশ খুবই পরিচিত একটি খাবার। নানা রকম উপাদেয় খাবার তৈরিতে এর জুড়ি নেই। কেক, ডিজার্টসহ এমন অসংখ্য রেসিপি আছে যা তৈরিতে কিশমিশ দরকার। আর এটি এমনি খেতেও বেশ ভালো লাগে। কিশমিশ যে খাবারে শুধু স্বাদই এনে দেয় তা নয়। এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। অনেকের ধারণা শুধু কিশমিশ খেলে দাঁতের ক্ষতি হয়।  বিন্তু এটি ভুল ধারণা। কিশমিশ এ রয়েছে নানা উপকারিতা। চলুন জেনে নেই কিশমিশের কিছু গুনাবলীর কথা-

১. প্রতিদির কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যা সামাধান করে। কিশমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেলন ম্যাকুলার ডিগ্রেডেশন প্রতিরোধ করে চোখের সুরক্ষায় কাজ করে।

২. অনেকে ভাবতে পারেন কিশমিশে চিনি রয়েছে যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু চিনির পাশাপাশি কিশমিশে রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড যা মুখের ভেতর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয়। এবং ক্যাভিটি প্রতিরোধে কাজ করে।

৩. কিশমিশে রয়েছে বোরন যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বোরন মনোযোগ বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে কার্যকরী একটি উপাদান। মাত্র ১০০ গ্রাম কিশমিশ থেকে প্রায় ২.২ মিলিগ্রাম বোরন পাওয়া সম্ভব।

৪. কিশমিশের পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত সোডিয়াম রক্ত থেকে দূর করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা প্রতিরোধ করে।

৫. কিশমিশে খারাপ কোলেস্টরেল রয়েছে ০%। এছাড়া কিশমিশের স্যলুবল ফাইবার খারাপ কোলেস্টরেল দূর করে সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। ১ কাপ কিশমিশ থেকে প্রায় ৪ গ্রাম পরিমাণে স্যলুবল ফাইবার পাওয়া যায়।

৬. কিশমিশের ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম আমাদের পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড যা অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করে তা দূর করতে সহায়তা করে।

৭. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচাইতে বেশি কার্যকরী। মাত্র ১ টেবিল চামচ কিশমিশ আপনাকে প্রায় ১ গ্রাম পরিমাণ ফাইবার দিতে পারে। এছাড়াও কিশমিশের টারটারিক অ্যাসিড হজম সমস্যা দূর করে পরিপাকতন্ত্রের সুরক্ষা করে।

৮. আমরা সকলেই জানি দেহে আয়রনের অভাবের কারণে রক্তস্বল্পতার সমস্যা শুরু হয়। কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। ১ কাপ কিশমিশে রয়েছে প্রায় ৬ মিলিগ্রাম আয়রন যা আমাদের দেহের প্রায় ১৭% আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.