কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সম্প্রতি বন্যায় কয়েক হাজার একর জমির ফসল বিনষ্ট, পচা দূর্গন্ধ ছুড়ছে এলাকায়
মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কড়িগ্রম) প্রতনিধি: রৌমারীতে অসময়ের ভারতীয় পাহাড়ী ঢলে উপজেলার কয়েক হাজার একর রোপা আমন ধানের ক্ষেত তলিয়ে সম্পুর্ণ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। গত ১৫ দিন অতিবাহিত কয়েকদিনের টানা বর্ষনে ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের সাথে লাল মাটির সংমিশ্রণে ডুবে যাওয়া মাঠের ফসল পঁেচগলে বাতাসের সাথে দুগন্ধ ছড়াচ্ছে। মাঠের পর মাঠ ফসল না থাকায় কৃষকের মাঝে হাহাকার শুরু হয়েছে। সীমান্ত বাঁধ না থাকায় ভারতের ইচ্ছেমত জিঞ্জিরাম নদী ও ব্রম্মপুত্র দিয়ে ভারতীয় সীমান্ত বাঁেধ স্লুইজগেট খুলে দেওয়ায় রৌমারী উপজেলা অতিসহজে মুহুত্বের মধ্যে প্লাবিত হয়।
তবে সরকারি পরিকল্পনা সঠিক না হওয়ায় উপজেলার হাজার হাজার কৃষক বছরের পর বছর সর্বশান্ত হচ্ছে। রৌমারীর কৃষকের হতাশার মুল কারণ ভারত থেকে বয়ে আসা ব্রম্মপুত্রের শাখা ও জিঞ্জিরাম নদ। রৌমারী উপজেলার ৪ লাখ মানুষের প্রধান পেষা কৃষি। কৃষি বাঁচলে রৌমারীর ৪ লাখ মানুষ খাদ্য সংকট থেকে মুক্তি পাবে। এলাকাবাসির প্রাণের দাবী সীমান্ত ও ব্রম্মপুত্র পার রক্ষা বাঁধ নির্মাণের মধ্যদিয়ে এঅঞ্চলের মানুষকে ফসলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যাবে। এব্যাপারে ইজলামরী গ্রামের জিন্নাহ, ছাত্তার, সিরাজুল মাষ্টার, লাঠিয়াল ডাঙ্গার মাজহারুল ইসলাম, বেক্রিবিলের শেখ ফরিদসহ অনেকে বলেন, এবারের অমৌসুমি বন্যায় আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে মাঠে কোন ফসল নেই।
অল্প খরচে উৎপাদিত রোপা আমন ধান কৃষকের লাভজনক ফসল। মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
কৃষির ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে রৌমারী উপজেলা কৃষি অফিসার কাইয়ুম চৌধরী বলেন, এবারের অর্তকিত বন্যায় রোপ আমনধান ১ হাজার ৩শ হেক্টর ও বাদাম, শাকসব্জি ও অন্যান্য ফসল ১০০ হেক্টর ক্ষতি হয়েছে। রোপা আমনের এমন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষককে অনেকটা ঝুকি পোহাতে হবে।