কুড়িগ্রামের রৌমারীর বন্যার পানি কমার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা দেখার যেন কেউ নেই

২০৮

মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: রৌমারী উপজেলায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে নদী ভাঙ্গন ব্যাপক আঁকার ধারণ করেছে। রৌমারী উপজেলাটি কুড়িগ্রাম জেলা থেকে ১৬টি নদ-নদী দ্বাড়া বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলীয় উপজেলালা। বেঁড়ি বাঁধের পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদের কূল ঘেষা ইউনিয়ন হচ্ছে বন্দবেড়- চরশৌলমারী- যাদুরচরসহ ৩টি ইউনিয়ন।

প্রতিবছর ইউনিয়ন ৩টি বর্ষা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র ও ভারতীয় পাহাড়ী ঢলে আমন ধান ও বাড়ি ঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়্ । এবারের বন্যায় ৩টি ইউনিয়নে রোপা আমন ধান প্রায়ই সম্পুন্য নষ্ট হয়েগেছে। এমনকি পানি কমার সাথে সাথে সাহেবের আলগা, ঘুঘুমারী, খেরুয়া, বলদমারা, ফলুয়ারচর বড়চরসহ অসংখ্য স্থানে তিব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। যারফলে ফসলী জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্রামীণ সড়কসহ অসংখ্য বসত ভিটে নদী গর্ভে বিলীন হয়েগেছে।

নদী ভাঙ্গন রোধে সরকারী সহায়তা, অসছেনা কোন কাজে। ভূমি বাঁচলে এলাকার মানুষ বাঁচবে। কিন্ত সেদিকে সরকার তথা দায়িত্ব কত্যব্যে থাকা ব্যাক্তিরা বড়ই উদাসীন। ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে রৌমারীর আয়তন মানচিত্র থেকে বিলীনের পথে। দূরুত নদী ভাঙ্গন রোধ না করলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে রৌমারী ব্রহ্মপুত্র নদে পরিণত হবে।

এবিষয় রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান তার কাছে নদী ভাঙ্গনে সর্বহাড়াদের জন্য কি ব্যবস্থা নিয়েছেন জানতে চাইলে, তিনি বলেন রৌমারী উপজেলার পশ্চিম এলাকাটি ব্রক্ষপুর নদীর সঙ্গে যুদ্ধু করে জীবনযাপন করছেন তারা। তাদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয় উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে তালিকা করে পাঠানো হয়েছে আসা করি এর একটা সমাধান হবে।

ভুক্তভোগী এলাকার টর শেীলমারী ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল মাস্টার বলেন এখানে শতশত বাড়ী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপন নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে দেখার মানুষ। একসময় রৌমারী উপজেলাটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে যদি ভাঙ্গন রোধে ভূমিকা না নেয়।

Comments are closed.