রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: নবমুসলিম অসহায় পরিবারের এক নারীকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী নারী রৌমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসি ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, নবমুসলিম মৃত দাওদারীর মেয়ে লিপি খাতুন ওরফে বাসন্তী (৩২)কে একই গ্রামের রাজ আলীর ছেলে ময়েজ উদ্দিন (৫৫) দীর্ঘদিন থেকে উক্তত্য করে আসছে। ঘটনার দিন লিপি তার মা ও বোনকে নিয়ে প্রতিদিনের মতো ঘুমিয়ে পড়ে।
তার বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ নেই। ঘটনার দিন লিপি প্রকৃতির ডাকে সাড়াদিতে গিয়ে বাড়ির ঝোপে ওৎপেতে থাকা ময়েজ উদ্দিন লিপির মুখ চেপে ধরে ধর্ষনের চেষ্টা করে। পরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায় সে চিৎকার করলে তার বোন ও মা এগিয়ে আসে এবং লিপিকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। মা ও মেয়ের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে লিপিকে ছাড়িয়ে নেয়।
কিছুক্ষণ পর লম্পট ময়েজ উদ্দিন ধর্ষনের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার লোকজন নিয়ে ওই নিরিহ পরিবারের উপর বেধরক মারপিট করে। এতে লিপির বড় বোন বাসনা ও তার মা মারত্মক ভাবে আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় লিপি বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসি লিচু মিয়া জানান, লিপির বাবা ভাই কেউ নেই। ফাকা বাড়ি পেয়ে ময়েজ উদ্দিন লিপিকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। আমরা প্রশাসনের কাছে তদন্ত পূর্বক সঠিক বিচার দাবী করছি।
অভিযুক্ত ময়েজ উদ্দিন বলেন,ওই মহিলার ছাগল আমার জমির ফসল নষ্ট করেছে। এনিয়ে কিছু কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র।
এব্যাপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comments are closed.