মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: প্রায় ৩ লক্ষ জনসংখ্যার অধ্যুষিত কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা সমস্যায় জর্জড়িত হয়ে পড়েছে। মাত্র ৭ জন চিকিৎসক নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা।
এছাড়া ৫০ শয্যার উন্নিত হওয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে দেখা দিয়েছে অন্তহীন সমস্যা। ফলে নানা সমস্যার জন্য সাধারণত মানসম্মত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এই অঞ্চলের মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে প্রথম শ্রেণীর অনুমোদিত পদে , উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ৯ম ১ জন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ৯ম ১ জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন ৬ষ্ট ১ জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারী ৬ষ্ট ১ জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনি ৬ষ্ট ১ জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট অর্থো সার্জারী ৬ষ্ট ১ জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট কার্ডিওলজি ৬ষ্ট ১জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট শিশু ৬ষ্ট ১ জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট ইএনটি ৬ষ্ট ১জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট চক্ষু ৬ষ্ট ১ জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট চর্ম ও যৌন ৬ষ্ট ১ জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট এ্যানেসথিয়া ৬ষ্ট ১ জন, মেডিকেল অফিসার ৯ম ২ জন, ডেন্টাল সার্জন ৯ম ১ জন, দাঁতভাঙ্গায় সহকারী সার্জন ৯ম ১ জন, শৌলমারীতে সহকারী সার্জন ৯ম ১ জন, বন্দবেড়ে সহকারী সার্জন ৯ম ১ জন, যাদুরচর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সহকারী সার্জন ৯ম ১ জন, মোট ১৯ জন অফিসারের অনুমোদিত পদ থাকলেও শুন্য পদ জুনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন, জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারী, জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনি, জুনিয়র কনসালটেন্ট অর্থো সার্জারী, জুনিয়র কনসালটেন্ট কার্ডিওলজি, জুনিয়র কনসালটেন্ট শিশু,জুনিয়র কনসালটেন্ট ইএনটি, জুনিয়র কনসালটেন্ট চক্ষু, জুনিয়র কনসালটেন্ট চর্ম ও যৌন, জুনিয়র কনসালটেন্ট এ্যানেসথিয়া, ডেন্টাল সার্জন, সহকারী সার্জনসহ ১২টি পদ শুন্য রয়েছে। কর্মরত রয়েছেন ৭ জন।
২য় শ্রেণৗর কর্মচারীদের অনুমোদিত পদের নার্সিং সুপার ভাইজার ১ জন, সিনিয়র ষ্টাফ নার্স ২০ জন, উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে মিডওয়াফ ৪ জন, দাঁতভাঙ্গা উপস্বাস্থ্য কেন্দে মিডওয়াফ ১ জন, যাাদুর চরে ১ জন, মে,াট ২৭ জনের অনুমোদিত পদ থাকলেও সেখানে ১৪টি সিনিয়র ষ্টাফ নাসের পদ শুন্য রয়েছে। কর্মরত ১৩ জন। ৩য় শ্রেণৗর কর্মচারীদের অনুমোদিত পদ রয়েছে প্রধান সহকারী ১ জন, ক্যাশিয়ার ১ জন, পরিসংখ্যানবিদ ১ জন, স্টোর কিপার ১ জন, স্যাকমো ২ জন, ফামাসিষ্ট ২ জন, মেডিঃ টেকঃল্যাব ২ জন, মেডিঃ টেকঃ রেডিও ১ জন, মেডিঃ টেকঃ ইপিআই ১ জন, মেডিঃ টেকঃ ডেন্টাল ১ জন, মেডিঃ টেকঃ ফিজিও ১ জন, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ১ জন, হেলথ এডুকেটর ১ জন, কার্ঢিও গ্রাফার ১ জন, সহকারী নার্স ১ জন, অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর ৩ জন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ২ জন, সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৬ জন, স্বাস্থ্য সহকারি ৩০ জনজুনিয়র মেকানিক ১ জন, ড্রাইভার ১ জন, গার্ডেনার ১ জন, দাঁতভাঙ্গা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্যাকমো ১ জন, শৌলমারীতে ১ জন ও যাদুরচরে ১ জন, অপরদিকে দাঁত ভাঙ্গায় ফার্মসিষ্ট ১ জন ও যাদুরচরে ফার্মাসিষ্ট ১ জন। মোট ৬৮টি পদ থাকলেও কর্মরত ৪৫ জন ও শুন্য পদ রয়েছে ২৩টি।
৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে ওয়ার্ডরয় ৩ জন, আয়া ৩ জন, মালি ১ জন, মশালচি ১ জন , নিরাপত্তাপ্রহরি ২ জন, পরিচ্ছন্নতাকর্মি ৫ জন,অফিস সহায়ক ৩ জন, দাঁতভাঙ্গা ও যাদুরচরে অফিসসহায়ক ১ জন কর ২ জন। মোট ২১ জন থাকার কথা থাকলেও ১৪টি পদ শুন্য রয়েছে। রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে প্রথম, দ্বিতীয় , তৃতীয় ও চতুর্থ শেণৗর কর্মকর্তা কর্মচারীর সংখ্যা ১৩৫ জন।
সেখানে শুন্য পদের সংখ্যা ৬৩টি। বছরের পর বছর এমন স্বল্প সংখ্যক ডাক্তার কর্মচারী নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে রৌমারী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে রোগীদের সেবা কার্যক্রম। রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০০ এম এ,৩০০ এম এ ও ১০০ এম এ ৪টি এক্স-রে মেশিন রয়েছে। ৪টি এক্স-রে মেশিনের মূল্য প্রায় কোটি টাকা।
মেশিন গুলো হাসপাতাল গ্রহন করার পর থেকে কখনো রোগীদের সেবায় ব্যাবহার করা হয়নি। ব্যাবহার না করেই প্রায় দেরযুগ ধরে ২টি মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ২টি এক্স-রে মেশিন ভালো থাকলেও জনবল সংকটে ব্যাবহার হচ্ছেনা। এদিকে ইউএসজি (আলতাস্নো) ইসিজি মেশিনও জনবল সংকটে একই অবস্থা।
রৌমারী হাসপাতালটি যেন চলছে হাওয়ার উপর, দেখার কেউ নেই।এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, এক্স-রে মেশিন ও ইউএসজি (আলতাস্নো) মেশিন জনবল সংকটে ব্যাবহার হচ্ছেনা।
ডাক্তার, নার্স,ওয়ার্ডবয়, প্রধান সহকারীসহ প্রায় ৬৩ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর পদ শুন্য থাকায় হাসপাতাল পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটছে। এব্যাপারে জেলা মিটিং এ বহুবার আলোচনা করেছি, কিন্ত সমাধান মেলেনি।
Comments are closed.