মোহনপুর প্রতিনিধি: মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে না পেয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ৫ নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর সাবের আলী ম-ল। শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় নিজ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে প্রদানে তিনি বলেন, আমি কেশরহাট পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের দুই বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর।
এছাড়াও আমি কেশরহাট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। এ বাজারে আমার একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কেশরহাট পৌর বাজার রহমান পেট্রোল পাম্পের পাশে অবস্থিত আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে আমার চাঁদা দাবী করে আসছিল। আমি তাদের চাঁদা না দেওয়াই গত ১০ অক্টোবর রাত ৯ টার দিকে কেশরহাট পৌর এলাকার বাকশৈল গ্রামের মৃত মছির উদ্দিনের ছেলে জামাল হোসেন নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী চাঁদার দাবীতে দোকানে প্রবেশ করেন চাঁদা দাবী করে।
আমি চাঁদা দিতে রাজি না হলে তারা অতর্কিত হামলা ও ভাংচুর করে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় দোকানঘর ও গোডাউনে ভাংচুর চালিয়ে মালামাল লুট করে নিয়ে চলে যায়। এতে করে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে নিয়ে যায় এবং আমাদের বের করে দিয়ে দোকান ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাজশাহী জেলা বিজ্ঞ মোহনপুর আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করি যার নম্বার- ১৭ সি/২০২২(মোহনপুর) আদালত শুনানী অন্তে মোহনপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ কে মামলাটি এজাহার হিসাবে গণ্য করার নির্দেশ দেন। ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, তিনি চরম শষ্কার মধ্যে দিন কাটাছেন। গত ১১ অক্টোবর জামাল হোসেনসহ তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর অবৈধভাবে জবর দখল করে চাঁদার দাবিতে আশে পাশে ঘুরাঘুরি করছে। দোকানে গেলে ওই সন্ত্রাসী ও চাঁদার দাবিতে বাহিনী হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।
বর্তমানে কেশরহাট পৌর কাউন্সিলর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে কাউন্সিলর সাবের আলী বলেন, টাকা লুটপাটের সময় দেশি অস্ত্র দেখিয়ে কিল ঘুষি মারে ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারিনি। আমার সম্পদ হারালে তো জীবন হারাতে পারবো না। বেঁচে না থাকলে আমি সম্পদ দিয়ে কি করবো। পরে আমি আলোচনা করে বিচারের দাবিতে আদালতে মামলা দায়ের করছি। এ ঘটনার বিচার ও সুষ্ঠ সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কেশরহাট পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল হক, ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসলাম হোসেন, ৯ নং কাউন্সিলর বাবুল আক্তার।
Comments are closed.