কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে গণ কোরআন বিতরণ করলো রাবি ছাত্রশিবির
রাবি প্রতিনিধি: ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ ও আবাসিক হল গুলোতে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর প্রতিবাদে কোরআন শরীফ বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্দ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে এই কোরআন বিতরণ করা হয়। এদিন বিকাল ৪টা ৪৫ থেকে ৫টা ৪৫ পর্যন্ত এই বিতরণ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
কর্মসূচিতে আসা এক শিক্ষার্থী বলেন, কোরআন একটা মহা গ্রন্থ। আল্লাহ নিজে এর হেফাজতকারী। কোনো দুষ্কৃতকারী যদি এটা ধ্বংস করার চেষ্টা করে সেটা কখনোই সম্ভব নয়। এটা হচ্ছে একটা নূর। এই নূরের আলোতে আমরা আমাদের জীবনকে আলোকিত করতে পারবো। ছাত্রশিবিরের এই গণ কোরআন বিরতণ কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাই।
রাবি ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, যখন সুইডেন, কানাডা, ইউরোপ আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলোতে কোরআন পুড়িয়ে ফেলতো এবং রাসুল (সা.) কে অবমাননা করা হতো তখন মুসলমানদের রিদয় ভেঙ্গে চুর মার হয়ে যেতো। আজকে আমাদের প্রিয় বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতে কোরআন পুড়ানোর মতো বিভীষিকা দেখতে হবে এটা আমাদের সবার জন্য মর্মাহত বিষয়। তার লক্ষই আজ আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন বিতরণ এবং কোরআন নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের যে ভীড় তাই বলে দেয় যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোরআন কে কতটা ভালোবাসে।
রাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, এর আগেও আমরা প্রতিবাদলিপি দিয়েছি কিন্তু প্রশাসনের কোনো অগ্রগতি দেখতে পাইনি। এজন্য আমরা গণ কোরআন বিরতণ কর্মসূচি দিয়েছি। প্রশাসন যদি দ্রুত কোনো ব্যবস্থা না নেই আমরা আরো কর্মসূচি দেবো। সেক্ষেত্রে বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল হতে পারে। কোনো সুবিধাবাদী দল যেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বা দাঙ্গা লাগাতে না পারে সেটা আমরা খেয়াল রাখবো। এছাড়া দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।