কোর্টে ফিরতে মুখিয়ে আছেন ফেদেরার
২০২০ ও ২০২১ সালের অনেকটা সময় চোটে ভুগেছেন রজার ফেদেরার। এই দুই বছর তাই বলার মতো কোনো সাফল্য পাননি তিনি। আপাতত রিহ্যাবে মনোযোগী এই টেনিস তারকা জানিয়ে দিলেন কালো মেঘ কেটে গেছে।
২০২২ সালে কোর্টে পুরনো ছন্দে ফিরতে মরিয়া ফেদেরার। ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক ফেদেরার উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে হুবার্ট হুরকাজের কাছে হারের পরে আর এই বছর কোর্টে নামেননি।
গত বছর তাঁর হাটুতে দুটি অস্ত্রোপ্রচার হয়েছিল। প্রথম সার্জারি সেভাবে সাফল্য পায়নি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টে ফেদেরার জানিয়েছেন, সার্জারির কারণেই দীর্ঘদিন তাঁকে কোর্টের বাইরে থাকতে হয়েছে। তবে ভবিষ্যতের বিষয়ে তিনি বেশ আশাবাদী।
ইয়াহু স্পোর্টসের খবরে জানা গেছে, কোর্টে ফিরতে মুখিয়ে আছেন ফেদেরার। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে খুব ভালো রিকভার করছি। রিহ্যাবে প্রতিটা পদক্ষেপ মেনে চলছি। চোটের খারাপ সময়টা কেটে গেছে। আমি এখন সামনের দিকে তাকাতে চাই। আমার চলার পথে যা আসবে তাকে সাদরে গ্রহণ করতে চাই। চোটের পর যখন ফিরে আসেন তখন প্রতিটা দিন উন্নতি ঘটে।’
এদিকে গত এক বছরে টেনিস খেলোয়াড়দের আয়ের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছেন ফেদেরার। ট্যাক্স বাদেই তিনি এই সময়ের মধ্যে আয় করেছেন ৯০.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৭৭১ কোটি ২৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকার মতো।
অবশ্য ইনজুরির কারণে বছরের অনেকটা সময় কোর্টের বাইরে ছিলেন ফেদেরার। সম্প্রতি ফোর্বস ম্যাগাজিন বিশ্বের শীর্ষ ধনী টেনিস খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করে।
রয়টার্সের খবরে জানা গেছে, চোটের কারণে এবারের ইউএস ওপেনে খেলতে পারেননি ফেদেরার। ফোর্বস জানিয়েছে গত বছর টেনিস কোর্ট থেকে এক মিলিয়ন ডলারেরও কম আয় করেছেন ফেদেরার। তাঁর অর্জিত অর্থের প্রায় পুরোটাই এসেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি থেকে।
৬০.১ মিলিয়ন ডলার আয় করে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন জাপানি তারকা নাওমি ওসাকা। প্রায় ৯০ শতাংশই কোর্ট থেকে আয় করেছেন তিনি। শীর্ষ পাঁচে রয়েছেন সেরেনা উইলিয়ামস, নোভাক জকোভিচ ও রাফায়েল নাদাল।
সেরেনা ও নাদাল ইনজুরির কারণে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামে খেলতে পারছেন না। গত এক বছরে শীর্ষ ১০জন টেনিস খেলোয়াড় মিলে আয় করেছেন ৩২০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি, যা আগের বছরের তুলনায় ৬ শতাংশ কম।
Comments are closed.