স্টাফ রিপোর্টার: শেষ মুহুর্তে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাক-ডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে রাজশাহীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট সিটির হাট। এবার বিক্রেতারা বেশি দাম আশা করে দাম চাচ্ছেন। অপরদিকে বেশি দাম হওয়ায় কিছুটা চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। তবে ভারতীয় গরুর আমদানী না থাকায় ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছেন খামারীরা। আর হাটে নিরাপত্তার নিশ্চিতে প্রশাসনের পাশাপাশি সেচ্ছা সেবক দলও কাজ করছে।
রাজশাহীর সবচেয়ে বড় হাট, সিটির হাট নিয়মিত সপ্তাহে রবি ও বুধ দুই দিন হাট বসতো। সেখানে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বর্তমানে প্রতিদিনি হাট বসছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার গরু, ছাগল এই পশুহাটে নিয়ে আসা হয়। এ হাটে গবাদি পশু ক্রয়ের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু ছাগলের ব্যাপারিরা আসেন। এবার কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে হাঁক-ডাকে জমে উঠেছে হাট প্রাঙ্গন। ছোট-বড় ও মাঝারি ধরনের পশুর সমাহারে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। হাটে পশুর সরবরাহ প্রচুর তবে অন্য বছরগুলোর চেয়ে ক্রেতা কম বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।
তবে এবার ভারত থেকে গরু আসেনি। হাটে নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব এর পাশাপাশি সেচ্ছাসেবক দল কাজ করছে। এছাড়া হাটে রয়েছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২ সদ্যের ডাক্তারী টিম। হাটে পর্যাপ্ত কোরবানির দেশি গরু দেখা গেছে। অনেকেই দাম বেশি হাকাচ্ছেন। তবে গত বছরের তুলনায় কিছুটা দাম বেশি। হাটে সকালে গরু-মহিষ কম উঠে কিন্তু বেলা বারার সাথে সাথে গরু-মহিষ বেশি উঠে এবং ক্রেতা-বিক্রেতার আগমন বেশি ঘটে। দুপক্ষের মধ্যে দরকষাকষির মধ্যে জমে উঠে ক্রেনা-বেচা। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে মিল রেখে অনেকেই পছন্দের কোরবানির পশু কিনছেন। এবার ভারত থেকে গরু না আশায় লাভবান হবেন দেশীয় খামারীরা। এমনটাই আশা করেন সংশ্লিষ্টরা।
গরু বিক্রেতা মোঃ শাহীন জানান, গরুর আমদানি অনেক বেশি সে তুলনায় গরুর দাম একটু কম। আমরা গরিব ঘরের মানুষ সংসারে কিছু উন্নতির জন্যই গরু লালন পালন করি। কিন্তু এখানে গরুর দাম আমরা তেমন পাচ্ছি না।
গরু বিক্রেতা মজিবর জানান, রু লালন পালন করছি বাড়িতে গরুর দাম ২২০ বলে । সিটি হাটে গরুর আমদানি বেশির কারনে গরুর দাম বলে না। গরুর বাজার পাচ্ছিনা কাস্টমার পাচ্ছিনা খালি গরুর আমদানি বেশি। আমরা লসে শেষ হয়ে গেলাম।
গরু ক্রেতা খলিল মির্জা জানান, আমরা ঢাকা থেকে গরু কিনতে আসছি। রাজশাহী সিটি হাটে বর্তমানে গরু দাম ২০ ত্রিশ হাজার টাকা বেশি। গরু আছে আমদানি আছে হাটে কিন্তু গরুর দাম অনেক বেশি।
গরু ক্রেতা তোফায়েল ইসলাম জানান, আমরা ফেনি থেকে আসছি এখানে গরু মহিষ কেনার জন্য এখন প্রচুর চড়া দাম এর জন্য কিনতে পারছি না। দামগুলো যদি একটু কমতি হইতো তাহলে আমরা একটু কিনতে সুবিধা পাইতাম। আর হাটে প্রচুর গরু মহিষ আছে দাম কমতেছে না দাম অনেক বেশি।
এ ব্যাপারে রাজশাহী সিটি হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন ডাবলু জানান, আসন্ন কুরমানী ঈদকে সামনে রেখে এই হাটের ইজারাদারের নেতৃত্বে আমরা যারা হাট কর্তৃপক্ষ আছি পাশাপাশি আমাদের যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ, র্যাব গোয়েন্দা সংস্থা আজকের হাটে তারা ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের কেনা বেচাতে তারা সর্ব্বিক আইন শৃঙ্খলা সঠিক রাখার স্বার্থে নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
পাশাপাশি হাটে জাল টাকা সনাক্ত করণের জন্য বা পকেটমার বা অজ্ঞান পাটি ছিনতাইকারী এই বিষয় গুলোকে সামনে রেখে আমরা হাট কর্তৃপক্ষ আমাদের সেচ্ছা সেবক তারা সবাই চেষ্ঠা করে যাচ্ছি যেন এই ধরনের অনাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে পাশাপাশি আজকে দেখেন রাজশাহী সিটি হাট অতিতের তুলনায় এবারে কম মনে হচ্ছে কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে। যেহেতু দেশি গরুতে হাট চালাতে হচ্ছে এবার ইন্ডিয়ান গরু নাই তাই আমাদের হাটে দেশি গরু প্রাধান্য পেয়েছে বেশি।#
Comments are closed.