ক্ষমতায় বসানোর মালিক দেশের জনগণ : ওবায়দুল কাদের

0 ১৭৩
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতায় বসানোর মালিক দেশের জনগণ, বিদেশীরা নয়। আমরা জনগণের শক্তিকে বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন,‘শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় আসতে চাই জনগণের ভোটে। জনগণ চাইলে আছি, না চাইলে নাই। এমন মানসিকতা যার, তিনি বিদেশিদের বা দেশি ষড়যন্ত্রকারীদের ভয় পাবে এটা মনে করার কারণ নেই।
ওবায়দুল কাদের আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বিদেশিরা ক্ষমতায় বসাবে এমন অসম্ভব চিন্তা আওয়ামী লীগ করে না বলে জানিয়ে তিনি বলেন,দেশের ক্ষমতার মালিক বিদেশিরা নয়, বরং মালিক হলো দেশের জনগণ। ক্ষমতায় বসাতে হলে বসাবে তারা।
‘সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে পশ্চিমাদের ওপর ক্ষুব্ধ’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন দাবির প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের  বলেন, তিনি (মির্জা ফখরুল)  মনে করছেন যে পশ্চিমারা তাকে, তার দলকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে এবং সে কারণে ঘনঘন তাদের দুয়ারে ধর্ণা দিচ্ছেন। নালিশ করছেন। নালিশের পর নালিশ, লবিস্ট নিয়োগ করছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এসব নেই। শেখ হাসিনার কোন লবিস্ট নেই। বিদেশিরা আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে – এমন কোন অসম্ভব চিন্তা তিনি কখনো করেননি।
এর আগে ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে চিত্রনায়ক ফারুকের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর এবং উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।
পরে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, চিত্রনায়ক ফারুক ছিলেন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধেরচেতনার প্রতি অবিচল ও অনড় পাথরের মতো। তিনি তার আদর্শ থেকে কখনো একচুলও ছাড় দেননি।
তিনি বলেন, ফারুকের বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র আমার কাছে ভালো লেগেছে। তিনি ভালো লাগার মতোই নায়ক ছিলেন। তার লাইফটা ছিল কালারফুল। একদিকে ভালো নায়ক অন্যদিকে রাজনীতিবিদ। শুধু তাই নয়, তিনি ছিলেন একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদ।
বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে কিংবদন্তি এ অভিনেতাকে শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজন করা হয়।
শুরুতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রনায়ক ফারুকের প্রতি রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর ফারুকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ  চিত্রনায়ক ফারুককে শ্রদ্ধা জানায়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.