গরিব দেশে টিকার সংকট, ধনী দেশগুলোর কাছে ডব্লিউএইচও’র আবেদন

0 ৬০৪

বিশ্বের ধনী ও উন্নত দেশগুলোতে টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে জোরেশোরে। বাদ যাচ্ছে না কমবয়সীরাও। কিন্তু, গরিব দেশগুলোকে টিকার জোগান দেবে কে? করোনা মোকাবিলায় গরিব দেশগুলোতে টিকা পাঠানোর জন্য ধনী দেশগুলোর কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গ্যাব্রিয়াসুস। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এ কথা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক বলেছেন, ‘গরিব দেশগুলোতে টিকার অভাবে কমবয়সীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ডেল্টা প্রজাতির করোনার প্রকোপে আফ্রিকায় পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে সেখানে সংক্রমণ ও মৃত্যু প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। আফ্রিকার প্রায় সব দেশই উন্নয়নশীল। সেখানে পর্যাপ্ত টিকা নেই।’

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় আফ্রিকার দেশগুলোতে টিকা রপ্তানি আপাতত বন্ধ রেখেছে ভারত। আর তাতেই সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। টেড্রোস আধানম আফ্রিকার অন্যতম গরিব দেশ ইথিওপিয়ার নাগরিক।

গরিব দেশগুলোতে করোনার টিকার সংকটের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের বিশ্ব ব্যর্থ হচ্ছে। বিশ্ববাসী হিসেবে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি।’

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও, গ্যাভি জোটসহ আন্তর্জাতিক অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে দরিদ্র দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের টিকা পৌঁছাতে কাজ করছে ‘কোভ্যাক্স’ টিকা তহবিল। এ বছরের শেষ নাগাদ ২০০ কোটি টিকা দরিদ্র দেশগুলোতে পাঠানোর কথা এই জোটের। কিন্তু, টিকা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর দিক থেকে সরবরাহে ধীরগতি এবং ধনী দেশগুলো নিজেদের স্বার্থের কথা ভেবে এই তহবিলে টিকা দিতে গড়িমসি করায় এ কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।

সম্প্রতি ডব্লিউএইচওর করোনা বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রুস অ্যালওয়ার্ড বলেছেন, ‘চলতি মাসে যুক্তরাজ্যের অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট, যুক্তরাষ্ট্রের জনসন অ্যান্ড জনসন থেকে একটি টিকাও পাওয়া যায়নি।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.