আব্দুল লতিফ মিঞা, বাঘা : বাড়িতে আছেন না, ঈদের পোষাক নিয়ে দুয়ারে হাজির ফেরিওয়ালা। পছন্দের পোষাক নিতে পারবেন, বাজারে যেতে হবে। ঈদ উৎসবের শাড়ি-ছিটকাপড় নিয়ে গ্রামের মফস্বল এলাকার বাড়ির দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে এভাবেই দৃষ্টি আকর্ষন করছেন ফেরিওয়ালা রিপন। এতে দৃষ্টি কাড়ছে বিশেষ করে বাড়িতে থাকা নারিদের। বাইসাইকেলের পেছনে ক্যারিয়ারের ওপর ও সামনে সাজানো নারি-পুরুষ সব বয়সী মানুষের দেশী-বিদেশী কাপড়। বিশেষ করে সুতি কাপড়ে তৈরি দেশি পোষাকের মধ্যে মেয়ে শিশুদের ফ্রক, সালোয়ার, কামিজ, সায়রা, সালোয়ার, রেহেঙ্গা, টপ, গাউন,স্কাট ছেলে শিশুদের পাঞ্জাবী, শার্ট, টি শার্র্ট,প্যান্টসহ নারিদের আকর্ষনীয় ডিজাইন ও বিভিন্ন দামের নতুনত্ব পাড়ের শাড়ি এবং ছিট কাপড়। সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে বিকেল পর্যন্ত গ্রামের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়ান এভাবেই। কোন কোন দিন বাড়ি ফিরেন সন্ধ্যার আগ দিয়ে। ঈদ উৎসবে বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে ফেরি করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাপড় বিক্রি করছিলেন, রিপন আলী (ফেরিওয়ালা)। শুক্রবার (০১-০৬-১৮) কাপড় বিক্রির সময় তার সাথে দেখা হয় উপজেলার ওই ইউনিয়নের কালিদাশখালি গ্রামের সহিদুলের বাড়িতে। ফেরিওয়ালা রিপন আলী জানান, তার বাড়ি লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে। বাঘা উপজেলার সীমান্ত থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে। তিনি বলেন, দুই উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানের চর এলাকা ছাড়াও ছুটে বেড়ান গ্রামের মফস্বল এলাকায়। এসব এলাকায় বিক্রি করে শান্তি পান। এবারে ঈদে গ্রামে বেশিরভাগ চাহিদা রয়েছে, শিশু ও মেয়েদের শাড়ি কাপড়সহ হরেক রকম নকশার সালোয়ার কামিজ ও ডিজাইন ওড়নার। পাশাপাশি বিছানার চাদরেরও অনেক চাহিদা রয়েছে। গড়ে প্রতিদিন বিক্রি হতো ৫ হাজার টাকার মতো। ঈদের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বিক্রির পরিমানও বাড়ছে। প্রতিদিন চলাফেরা করা লাগে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার। এ পেশায় জড়িত রয়েছেন সতের বছর ধরে। গ্রামের রলি বেগম ও আলেয়া জানান,এর আগে গ্রামের বাজারে হাটবারে এসব কিনতো বাড়ির পুরুষ মানুষেরা। এখন বাড়িতে বসেই নিজের পছন্দ মোতাবেক কাপড় কিনতে পারছি। দাম তুলনামূলকভাবে বাজারের চাইতে বেশি নয়। টাকা না থাকেলেও ধারে নিতে পারেন।
Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.
Next Post