চলতি বছরের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চালু হবে : প্রধানমন্ত্রী

৪৪৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

চলতি বছরের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য শহীদুজ্জমান সরকারের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের বৃহদাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং বর্তমানে বিভিন্ন পর্যায়ে বাস্তবায়নাধীন।’

সরকারের গৃহীত উল্লেখযোগ্য মেগা প্রকল্প সমূহের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সাহসী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু হতে যাচ্ছে এর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প গুলোর একটি।’

‘পদ্মা সেতু প্রকল্পের উভয় প্রান্ সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মূল সেতুর ভৌত অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। বর্তমানে সেতুতে কার্পেটিং, ভায়াডাক্ট কাপের্টিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন, মূল সেতু ও ভায়াডাক্টের মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্পপোস্ট, অ্যালুমিনিয়াম রেলিং, গ্যাসের পাইপলাইন, ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ ও রেললাইন বসানোর কাজ চলমান। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।’

পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বলে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান।

প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকারের গৃহীত মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে—রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বাগেরহাট জেলার রামপালে কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও জানান, ঢাকা মহানগরী এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসন এবং আধুনিক গণপরিবহণ চালুর লক্ষ্যে সরকার ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (মেট্রোরেল) গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। এ ছাড়া এলএনজি টার্মিনাল ও গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ প্রকল্পটি বর্তমানে বাস্তবায়িত হয়ে অপারেশনে রয়েছে বলে তিনি জানান।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান, দেশের উন্নয়নে আরও যে সব মেগা প্রকল্প সরকার বাস্তবায়ন করছে সেগুলো হলো—পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্প, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, ভাঙ্গা জংশন (ফরিদপুর) থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা পর্যন্ত ব্রডগেজ (বিজি) রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প, কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু-মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প এবং মহেশখালী মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প।

Comments are closed.