ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ১৫ নং ওয়ার্ডের আরামবাগে ঈদের দিন ছুড়িকাঘাতে এক যুবক নিহত হওয়ার ৬ দিন, না পেরোতেই শুক্রবার (১৫ জুলাই) পৌর এলাকার ১৩ নং ওয়ার্ডের টিকরামপুর মহল্লার ৩ তলা মসজিদের পাশে ছুরিকাঘাতে আরেক যুবক নিহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় মোটরসাইকেল ওভারটেক করা নিয়ে বাকবিত-ায় সুরাত আলীর নেতৃত্বে অজ্ঞাত
কয়েকজন যুবক সাব্বির (১৯) ও আশিক (২০) নামে দুই যুবককে গাছের ডাল দিয়ে মারধোর ও ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় দুই যুবককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ সয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সাব্বিরের অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। রাজশাহী নেয়ার পথে গোপালপুর নামক স্থানে মারা যায় সাব্বির।
নিহত যুবক সাব্বির (১৯) চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার টিকরামপুর মধ্যপাড়া-আদর্শ মোড় মহল্লার মনিরুল ইসলামের ছেলে ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
অপর আহত যুবক একই এলাকার ফারুক শেখের ছেলে মোঃ আশিক (২০) আলী। আহত আশিক রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর মেকানিকাল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, পৌর এলাকার ১ নং কলোনির জিয়ার ছেলে সুরাত আলী (২০), পিছন দিক থেকে ৩টি মোটরসাইকেলে অজ্ঞাত ৪/৫ জন যুবককে সাথে নিয়ে তাদের ওভারটেক করছিল। এ সময় সাব্বির ও আশিক ওভারটেক করা নিয়ে তাদের সাথে বাকবিত-ায় জড়িয়ে পড়ে। এসময় সুরাত আলী সহ তার সহযোগীরা সাব্বির ও আশিককে গাছের ডাল দিয়ে পিটায় ও ছুরিকাঘাত করে।
এতে সাব্বির গুরুতর আহত ও আশিক সামান্য আহত হয়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আশিক প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে এবং হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাব্বিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার্ড করে। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাব্বির মৃত্যুবরণ করে।
সাব্বিরের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলেও জানান।
Comments are closed.