জামিল ব্রিগেডের সম্মাননা পেলেন সম্মুখযোদ্ধা ও গণমাধ্যমকর্মীরা

৪৫৫

রাজশাহী প্রতিনিধি: শহিদ জামিল ব্রিগেড। রাজশাহীতে করোনার দুর্বিষহ সময়কার কথা স্মরণ করলে মনে পরে স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটির নাম। মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে মানুষকে বিনামূল্যে অক্সিজেন-অ্যাম্বুলেন্সসহ ডাক্তারি পরামর্শ সেবা প্রদান করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন লাল গেঞ্জি পরিহিত ব্রিগেডের সদস্যরা।

সেবা প্রদানের ২৯৩ তম দিনে এই ব্রিগেডের সাথে যুক্ত সাহসী সম্মুখযোদ্ধা ও প্রতিনিয়ত সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে অবদান রাখায় গণমাধ্যমকর্মীদের সম্মাননা জানিয়েছে সংগঠনটি। রবিবার সকাল ১১টায় রাজশাহী নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শহিদ জামিল ব্রিগেড।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মুখযোদ্ধা ও গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন শহিদ জামিল ব্রিগেডের প্রধান উপদেষ্টা ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। এর আগে ব্রিগেডের সেবা নিয়ে তৈরী করা একটি ডকুমেন্টারি প্রজেক্টরের মাধ্যমে পরিবেশন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, করোনার সময়ে মানুষের জন্য জামিল ব্রিগেডের সাহসী যোদ্ধারা যা করেছে; তাতে শুধু দেশবাসী নয়, আমি নিজেও অভিভুত। আমি সরাসরি হয়তো তাদের সাথে থাকতে পারিনি, কিন্তু আমার অন্তর ছিল ব্রিগেডের মধ্যেই।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির এই সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, করোনাকালে অনেক রাত পর্যন্ত আমি তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের সাথে যুক্ত থাকতাম। কি হচ্ছে এসব নিয়ে খোঁজ-খবর রাখতাম। তাদের উৎসাহ বাড়াতে অনেক সময় ফেসবুকে তাদের ছবিও পোস্ট করতাম। তাদের কাজের কোন মূল্য নেই। জামিল ব্রিগেডের সেবামূলক কার্যক্রমকে সমর্থন করেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়।

রাকসুর সাবেক ভিপি বাদশা বলেন, করোনার সেই সময়টি ছিল সবার জন্য অনেক কঠিন সময়। মানুষ অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছে কিন্তু তাদের সহযোগিতা করার কেউ নেই। এমনকি অনেক আপনজনেরাও করোনা রোগীর পাশে এসে দাঁড়াননি। কিন্তু অক্সিজেন-অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে জামিল ব্রিগেড তাদের পাশে গিয়ে হাজির হয়েছে।

অনেকের ঔষধ কেনার টাকা না থাকলেও ব্রিগেডের সদস্যরা সংগঠনের অর্থে তাদের বাড়িয়ে ঔষধ পোঁছে দিয়েছে। অনেক সময় তারা নিজেদের বাড়িতে যায়নি। তাদের আন্তরিকতা দেখে অনেকেই তাদের টাকা দিতে চাইলেও তারা সেটি নেয়নি। আমি মনে করি, জামিল ব্রিগেডের সম্মুখযোদ্ধারা এ সময়ের মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই তাদের সাহস।

জামিল ব্রিগেডের উপদেষ্টা সিরাজুর রহমান খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন, ব্রিগেডের উপদেষ্টা ও কুবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক কুমার, বারিন্দ্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সুজিত কুমার ভদ্র, ব্রিগেডের উপদেষ্টা গোলাম মোর্শেদ চুন্না, আলমগীর মালেক প্রমুখ।

Comments are closed.