আল মাহামুদুল হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের সাথে কথিত বন্ধুকযুদ্ধে আবারো এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। তার নাম মোবারক হোসেন কুট্টি (৪৫) । এটি মাদক বিরোধী অভিযানের ঠাকুরগাঁওয়ের দ্বিতীয় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা।
শনিবার ভোর রাতে সদর উপজেলার পশ্চিম বেগুনবাড়ি নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। মৃত কুট্টি ঠাকুরগাঁও রোড ছিট চিলারং গ্রামের মৃত সফির উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর রাতে গোপন সংবাদ পেয়ে সদর উপজেলার পশ্চিম বেগুনবাড়ি ইউনিয়নে অভিযান চালায় তারা। এসময় কুট্টিসহ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের উপড় হামলা চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে মাদক ব্যসায়ীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টাগুলি চালায়। পাল্টাপাল্টি গুলি বর্ষনে কুট্টি আহত হয় এবং এসময় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় বিস্ফোরিত ৫টি ককটেল , বন্দুকের কার্তুজ ও বেশকিছু দেশীও ধারালো অস্ত্র।
পরে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। অপরদিকে আহত ৩ পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। পরে তাদের ঠাকুরগাঁও পুলিশ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় বলে জানাযায়।
কুট্টির স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানায়, গত ২২ মে মঙ্গলবার সন্ধায় তার নিজ বাড়ি থেকে কুট্টিকে পান ও সিগারেট আনার কথা বলে নিয়ে যায় পুলিশের এক সদস্য। এ সময় আমি সাথে যেতে চাইলে সমস্যা নাই বলে আমাকে চলে যেতে বলে পুলিশ। কিন্তু পরবর্তীতে সে ফিরে না আসায় ঠাকুরগাঁও সহ পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জেলায় খোঁজ খবর নেওয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু আজ আমরা শুনলাম তাকে নাকি ক্রস ফায়ার দেওয়া হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, সদর উপজেলার ছিট চিলারং গ্রামের মৃত সফির উদ্দিনের ছেলে একজন চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী। তার নামে বর্তমানে ১৫ টি মাদক মামলা চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এরপূর্বে গত ২৩ মে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের পাড়য়া গ্রামের ভেলসা মোহাম্মদের ছেলে আপতাফুল (৩৮) পীরগঞ্জের ভাতারমারী ফার্ম নামক স্থানে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ।