নাটোর প্রতিনিধি: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, “দেশের নয় হাজার ৩৯৭টি ডিজিটাল সেন্টারে বিদ্যমান ৩৮৫টি সেবাকে ২০২৪ সালে এক হাজারে উন্নীত করা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিটি ডিজিটাল সেন্টার এক একটি স্মার্ট সার্ভিস হাবে পরিণত হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলতেন, ঢাকা মানে বাংলাদেশ নয়।
বঙ্গবন্ধু বিকেন্দ্রীয়করণের নীতি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর পদাংক অনুসরণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচী প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারসমূহ তৃণমূল থেকে কাজ শুরু করে। অর্থাৎ শিকড় থেকে শিখরে পৌঁছে যাবার দৃঢ় প্রত্যয়। এসব ডিজিটাল সেন্টারে দ্রুততম সময়ে ও স্বল্প ব্যয়ে নাগরিক সেবা প্রদানকে সহজলভ্য করা হয়েছে। প্রতিমাসে এসব ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৭৫ লক্ষের অধিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে।”
প্রতিমন্ত্রী সিংড়ায় হাইটেক পার্ক চত্বরে ডিজিটাল সেন্টারের ১৩ বছর পূর্তি উদযাপন এবং বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস এন্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার ও হার পাওয়ার প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পরে প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থল থেকে অনলাইনে সিংড়া উপজেলার ৩৬টি উন্নয়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন এবং আটটি উন্নয়ন কার্যক্রমের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমস্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রো রেল ,পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল সহ একের পর এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। বাংলাদেশের মত দেশে এসব অত্যাধুনিক ইনফ্রা স্ট্রাকচার এত দ্রুত যে সম্ভব হচ্ছে তা দেশের জনগণ পরপর তিনবার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামীলীগ নরকার গঠনের সুােগ দিয়েছে জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। তাই উন্নয়ন ও সুশাসন বজায় রাখার জন্য আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভুল না করে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানালেন তিনি।
জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এটুআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মামুনুর রশীদ ভূঞা, পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম, এটুআই প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাজেদুল ইসলাম, সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ ওহিদুর রহমান, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সফল উদ্যোক্তা নীলা চৌধুরীসহ অন্যান্যরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ৯ জন সেরা উদ্যোক্তাকে সন্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়সহ শতাধিক উদ্যোক্তা অংশ নেয়।