ড. ইউনূসের দোষী সাব্যস্ত হওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : ট্রায়ালওয়াচ
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দোষী সাব্যস্ত হওয়াকে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশপ্রণোদিত’ বলে মনে করছে ক্লুনি ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিসের ট্রায়ালওয়াচ। গতকাল শুক্রবার (১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এমন মন্তব্য করেছে তারা। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাটির বিচারপ্রক্রিয়া পর্যালোচনায় তারা বেশ কিছু বিষয় খুঁজে পেয়েছে। এতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ড. ইউনূস ও তার সঙ্গে অন্য তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দেওয়া সাজা বাতিলের আহ্বান জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারপ্রক্রিয়া পর্যালোচনার ভিত্তিতে অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়ার অপব্যবহার খুঁজে পেয়েছে তারা। ক্লুনি ফাউন্ডেশন বলছে, ‘ড. ইউনূসের সমর্থকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসন তাকে অসম্মান ও হেয় প্রতিপন্ন করার নিরলস প্রচারণার অংশ হিসেবে এই মামলাটি করেছে। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে ড. ইউনূস ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
গত ১ জানুয়ারি রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রমভবনে তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা ৮৪ পৃষ্ঠার রায় পড়া শেষে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। একইসঙ্গে চারজনকে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। পরে আপিলের শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের জামিন দেন আদালত।
রায় ঘোষণার পর কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ড. ইউনূসকে আদালত থেকে বাইরে নেওয়া হয়। সে সময় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ড. ইউনূস বলেন, ‘যে দোষ করিনি, সেই দোষের শাস্তি পেলাম। এটাকে ন্যায়বিচার যদি বলতে চান, তাহলে বলতে পারেন।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘আজ রায় ঘোষণা শুনতে আমার অনেক বিদেশি বন্ধু-বান্ধব এসেছেন, যাদের সঙ্গে বহুদিন দেখা হয়নি। আজ তাদের দেখে খুব আনন্দ লাগছিল। সবাই রায়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। যে দোষ আমরা করিনি, সে দোষে সাজা দেওয়া হলো। আনন্দের দিনে আঘাতটা পেলাম।’
এরপর গতকাল ক্লুনি ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিসের ট্রায়ালওয়াচ বলল—তারা নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের দোষী সাব্যস্ত হওয়াকে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মনে করছে।