
গত কয়েকদিন ধরে প্রতি ঘন্টায় লোডশেডিং হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় এক ঘণ্টা পরপর বিদ্যুৎ যাচ্ছে। বার বার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় গরমে মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেকেবই বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থায় ফোন করে অভিযোগ জানাচ্ছেন। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না। দফায় দফায় লোডশেডিং আর প্রচন্ড গরম দুর্বিষহ করে তুলেছে জনজীবন।
তীব্র তাপদাহ আর ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম। এই গরমে স্কুল-কলেজ-মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীদের অনেকটা হাসফাঁস অবস্থা, অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। আর যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টিন শেডের সেগুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে নেয়া দুরুহ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। তারা বলেন, গরমের কারণে সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে থাকছে ক্লাসরুমগুলো। এর মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই থাকছে না বিদ্যুৎ তখন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবস্থা ঘেমে- নেয়ে একাকার হয়ে যায়।
সারাদেশে তীব্র গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। এতে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম আর লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ রাতে ঘুমাতে পারছে না।
প্রচন্ড গরমের কারণে মানুষ দিনের বেলায় কাজে যেতে পারছে না। শ্রমিকরা অল্প সময় কাজ করে হাঁপিয়ে পড়ছে। কৃষি খাতেও এর প্রভাব পড়ছে। কৃষি জমিতে শ্রমিকরা প্রখর রোদে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছে না। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে।