
জিএসবি’র মহাপরিচালক ড. মো. শের আলী বলেন, এই ড্রিলিংয়ের মাধ্যমে কেশবপুর গ্রামের মাটির নিচে কী কী সম্পদ আছে, তা দেখা হবে। এতে এলাকাবাসীর ভয়ের কিছু নেই। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার তথ্যগুলো সরকারকে সরবরাহ করব- যেনো সেগুলো কাজে লাগাতে পারে। যদি এই গ্রামে মাটির নিচে খনি পাওয়া যায় তাহলে সরকার কাজ করবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর মুজিববর্ষে দেশের মানুষকে নতুন খনি উপহার দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ৫টি কয়লা খনির সন্ধান আমরা পেয়েছি। সেই খনিগুলোর কয়লা দিয়ে প্রায় ৫০ বছর পুরো বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ মাটি থেকে উত্তোলন করতে গেলে দেশের বহু মানুষের জমি নষ্ট হবে। বর্তমান সরকার দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করে বাইরে থেকে কয়লা আমদানি করছে।

তিনি বলেন, এর আগে ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল জেলার হাকিমপুর উপজেলার ইসবপুর গ্রামে উন্নতমানের লোহার আকরিকের (ম্যাগনেটাইট) খনির কূপ খনন কার্যক্রম শুরু করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি ড্রিল কার্যক্রমে পাওয়া লোহার খনির সম্ভাব্যতা নিশ্চিত, মজুদ ও পরিধি যাচাইয়ে তৃতীয় পর্যায়ের ড্রিলিং কার্যক্রমের শুরু করে জিএসবি।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম তারিক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আয়েশা সিদ্দীকা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরতিজা হাসান, জিএসবির ডিরেক্টর মো. মইনউদ্দিন।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপ পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. মাসুদ রানা, সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. রোকনুজ্জামান, চিরিরবন্দর থানার ওসি (তদন্ত) মো. রইচ উদ্দিন, পুনট্রি ইউপি চেয়ারম্যান নুর এ কামাল প্রমুখ।
জিএসবি সূত্রে জানা যায়, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কূপ খননের কাজে একটি অনুসন্ধানী দল কাজ করবে। প্রথম তিন মাস কুপ খনন করে চালানো হবে খনিজ সম্পদের অনুসন্ধানের কাজ। নতুন খনিতে লোহার কাঁচামাল আকারে পুরুত্ব অনেক বেশি থাকায় লোহার সঙ্গে তামাসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশা করছেন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর জিএসবি। বর্তমানে এলাকাটি সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করে খনিজ সম্পদের অনুসন্ধানের কাজ করবে জিএসবি।