গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বগুড়ার কিচক হিন্দুপাড়া গ্রামের রাম কৃষ্ণ দাস (৩৫), জয়পুরহাট জেলার মহব্বতপুর গ্রামের নয়ন চন্দ্র দাস (৩৫), মুকুল মিয়া (৩৫), মোজাহার সরদার (৩৬), জিয়াপুর গ্রামের রিমন চন্দ্র (২১), বিফল চন্দ্র দাস (২৪), কাজল চন্দ্র দাস (২১), প্রনব চন্দ্র দাস (২২), উজ্বল চন্দ্র দাস (২৮), নিরেন চন্দ্র দাস (৩৬), কুসুমবাগ গ্রামের মাসুদ রানা (২৭), পিকআপ চালক আমজাদ হোসেন (৪৮), মিলন চন্দ্র হাওলাদার (৩৪) এবং শুভ চন্দ্র দাস (১৯)।
অধিনায়ক লে. কর্ণেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন- গ্রেফতারকৃত আসামীরা সংঘবদ্ধ চিহ্নিত ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাতের আধারে গোপনে অন্যের পুকুরে মাছ ডাকাতি করে বিভিন্ন বাজারে পাইকারী বিক্রি করে আসছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে র্যাব-৫ এর গোয়েন্দা দল তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষন করছিল।
আত্রাই থানার সাহেবগঞ্জ সরদারপাড়া গ্রামের বাসীন্দা আবুল কালাম আজাদ এর পুকুর পাঁচুপুর এলাকায়। বুধবার ভোরে পাঁচুপুর এলাকায় একটি পুকুরে মাছ ডাকাতি করে পিকআপ লোড করেছিল। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় রামকৃষ্ণসহ ১৪ জন ডাকাত সদস্যকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ৩৬৫ কেজি কার্প জাতীয় মাছ, একটি পিকআপ, মাছ ধরার জাল, চাকু ও ছোট হাসুয়া উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- ডাকাত দলের নেতা রামকৃষ্ণ দাস এর অধীনে ১৫-২০ জনের একটি দল রয়েছে। তারা নওগাঁ, বগুড়া এবং জয়পুরহাট জেলা বিভিন্ন এলাকায় ১২-১৫ টি পুকুরে দীর্ঘদিন ধরে মাছ ডাকাতি করে বগুড়া জেলার মহাস্থানগড় বাজারে, দিনাজপুর জেলার বিরামপুর ও হিলি বাজারে এবং জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর বাজারে বিক্রি করত। তাদের বিরুদ্ধে আত্রাই থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।